ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করবে উরুগুয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯

উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোডালফো নিন নোভোয়ার সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে সম্পর্ক জোরদারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি মার্কোসারের আগামী শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার জন্য উত্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। উরুগুয়ে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দেশটির রাজধানী মন্টিভিডিওতে উরুগুয়ের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী রোডালফো নিন নোভোয়ার বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উরুগুয়েসহ মার্কোসার ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মার্কোসার (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত) ভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ আমদানি শুল্কহারের কারণে পণ্য রফতানি করতে পাচ্ছে না। এ আমদানি শুল্কহার কমানোর বিষয়ে উরুগুয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করলে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও উরুগুয়ের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই সামান্য। উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণ করলে এ বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা সম্ভব। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ উরুগুয়েতে ১১ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৩ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছেন। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সরকার এখানে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। উরুগুয়ের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।

এ প্রেক্ষিতে উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোডালফো নিন নোভোয়ার বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি মার্কোসারের আগামী শীর্ষ সম্মেলনে আলোচানার জন্য উত্থাপন করার ঘোষণা দেন। আমদানি শুল্কহ্রাস বা এফটিএ স্বাক্ষর করা হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। পারস্পরিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সুবিধাজনক সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এ সফরের ফলে ব্যবসায়ী পর্যায়ে সফর বিনিময়, কৃষি, মৎস্য ও পশুপালন খাতে সহায়তা প্রদান ও সাংস্কৃতিক দলের সফর শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উরুগুয়ে সফরের জন্য ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা এবং কূটনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী উরুগুয়ের অর্থমন্ত্রী ডানিলো আস্টোরির সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট, জুতা, প্লাস্টিক সামগ্রী আমদানির জন্য উরুগুয়েকে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের চমৎকার বিনিয়োগ পরিবেশ এবং বিভিন্ন প্রণোদনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য তিনি উরুগুয়েকে অনুরোধ করেন।

উরুগুয়ের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে অধিক বাণিজ্যের ওপর জোর দেন। এছাড়া বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি যেন মার্কোসারের আগামী শীর্ষ সম্মেলনে উত্থাপিত হয়, সে বিষয়ে উরুগুয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে মর্মে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

এমইউএইচ/বিএ/এমএস

আরও পড়ুন