সৌন্দর্য বাড়ছে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়
ভরা মৌসুমেও পানি থাকছে না তিস্তায়। ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় তিস্তার বুকে এখন হাহাকার। তবুও আশা-নিরাশার দোলাচলে শত স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ।
উত্তরের এই প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষেরও উৎসাহের কমতি নেই। দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ রোজ দেখতে আসছে মানব সৃষ্ট দেশের এই বৃহৎ প্রকল্প। একদিকে ব্যারেজের বিশেষত্ব, অন্যদিকে তিস্তার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য সহজেই বিমোহিত করছে। শীত মৌসুমে পিকনিকের আসর বসে নিয়মিত। বিশেষ দিনগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না ব্যারেজ এলাকায়। যতো দিন যাচ্ছে, তিস্তা ব্যারেজ দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে বিশেষ পরিচিতি পাচ্ছে।
এই ব্যারেজ প্রকল্প এলাকায় সৌন্দর্য আরও বাড়াতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। বিশেষ করে বিনোদনপ্রেমী মানুষদের আকৃষ্ট করতে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের উন্নয়ন এবং প্রকল্প সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ তাগিদ দিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে।
এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার বৃক্ষরোপণ করেন ব্যারেজ সংলগ্ন বাংলোর (অবসর) পুকুর পাড়ে। বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পানি মন্ত্রণালয়ের সচিব। পানি উন্নয়ন ডালিয়া বিভাগ ওই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, হাতীবান্ধা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমীন, ডিমলা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, নানা কারণেই তিস্তা ব্যারেজ এবং ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উত্তরবঙ্গের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে ইতোমধ্যে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় তথা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে অত্র এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো নির্মাণে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বিশেষ তাগিদে মানসম্মত পিকনিক স্পট, কটেজ, টয়লেট সুবিধাসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। যার ধারাবাহিকতা আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
এএসএস/জেএইচ/এমকেএইচ