ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চট্টগ্রামে সাড়ে ৭ মাসে ৮০০ ছাড়ালো ডেঙ্গু রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ১৯ আগস্ট ২০১৯

জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে গতকাল (১৮ আগস্ট) পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায়। এর মধ্যে ৬ শতাধিক রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সবমিলিয়ে ১৭৬ জন রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সবচেয়ে আশার দিক হলো চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কোনো ঘটনা নেই।

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম জানান, গতকাল পর্যন্ত মোট ৫১৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমানে ১১৮ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকি ৩৯৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।

এদিকে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, মহানগরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ২৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৫৮ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি ১৯৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।

একই সময়ে নগরের সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়া ৩০ জনের সকলেই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।

সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় আরও ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৩১ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে মহানগর ও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এ ৯ জনের মধ্যে মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ জন, ন্যাশনাল হাসপাতালে ২ জন, ইউএসটিসি হাসপাতাল ও পার্ক ভিউ হাসপাতালে ১ জন করে এবং লোহাগাড়া উপজেলা হাসপাতালে ১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নুরুল হায়দার।

চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, দু’জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকলেও তাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।

এনএফ/পিআর

আরও পড়ুন