ডেঙ্গু জনসচেতনতায় ১৬ লাখ স্কাউট সম্পৃক্ত
ডেঙ্গু প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ১৬ লাখ স্কাউটকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ই-কমার্স প্লাটফর্মের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাদের সম্পৃক্ত করে। স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে স্কাউটদের করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু সচিবালয়ে সকাল ৯টায় রাজধানীর ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মোকাবিলায় নিয়মিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, এমআইএস পরিচালক ডা. সমীর কান্তি সরকার, হাসপাতাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডেঙ্গু) ডা. এম. এম. আক্তারুজ্জামান এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তসমূহ
আলোচনা সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার (৭ আগস্ট) ডেঙ্গু বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সহযোগিতায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ সেমিনারের আয়োজন করে।
রাজধানীর মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের ব্যবস্থাপনার জন্য ৫০ শয্যার ডেঙ্গু ইউনিট চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশে ৩২ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক প্রচারণা চালায়।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) তত্ত্ববধায়ক, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্য হাসপাতালসমূহে ঈদের ছুটিকালীন সময় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা কিভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে আবারও দিক নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গুর আরডিটি ক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার উপর তাগিদ দেন। প্রয়োজনে ওষুধ প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় করে। বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সকাল ১০টায় সব সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের শিক্ষক এবং শিশু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহযোগিতায় ১০ আগস্ট প্রাইভেট হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞদের বিশেষ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থাপনা এবং শরীরে তরলের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। পরবর্তীতে এ প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে।
গতকাল ৭ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে ও বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সহযোগিতায় ২৬ জেলার সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট আরএমও, মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহণে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট গাইড লাইন নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং আজ (৮ আগস্ট) অবশিষ্ট ২৫ জেলায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে ৬৪ জেলার সদর হাসপাতালে অতিরিক্ত ডেঙ্গু এনএস১ কিট সরবরাহ করা হয়েছে বলে অবহিত করা হয়।
এমইউ/এএইচ/জেআইএম