ঢাকায় যুবরাজ, দাম ৩০ লাখ!
কিশোরগঞ্জ থেকে রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাট আফতাব নগরে এসেছে যুবরাজ। এই যুবরাজ কোনো রাজপুত্র নন, একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। শখ করে তার নাম রাখা হয়েছে যুবরাজ। বয়স তিন বছর। গরুটির দাম হাকা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।
গরু হলেও কালো রঙের যুবরাজকে দূর থেকে দেখলে মনে হবে হাতি। মালিকের দাবি, গরুটির ওজন ১২০০ কেজির ওপরে। বিশাল আকারের এই দেহ নিয়ে যুবরাজকে নড়াচড়া করতে একটু কষ্ট হয়।
কিশোরগঞ্জ থেকে তিনজন মিলে বুধবার রাতে আফতাব নগরে যুবরাজকে নিয়ে এসেছেন। যুবরাজের সঙ্গে আনা হয়েছে আরও একটি গরু। যেটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
যুবরাজকে আফতাব নগরে নিয়ে আসা তিনজনের একজন মো. সোহাগ। তিনি বলেন, যুবরাজ আমাদের নিজস্ব গাভীর বাছুর। তিন বছর ধরে ওকে লালন-পালন করছি। শখ করে নাম রেখেছি যুবরাজ। যুবরাজের পেছনে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করে যুবরাজকে শুয়ে থাকতেই দেখা যায়। একবারের জন্যও উঠে দাঁড়ায়নি। এর কারণ জানতে চাইলে সোহাগ বললেন, কাল সারারাত ধরে এসেছে। এখন একটু রেস্ট নিচ্ছে। ওকে বসা থেকে দাঁড় করানো অনেক কষ্টের। আবার শুয়ে থাকলেও দাঁড় করানোও কষ্টের। তাই দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে আমরা যুবরাজকে দাঁড় করাবো না।
বিশাল আকারের গরুটি দেখতে কয়েকজনকে ভিড় করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে যেমন প্রাপ্তবয়স্করা ছিলেন তেমনি ছিল বাচ্চারাও। সোহাগ বলেন বলেন, সকাল থেকে অনেকেই যুবরাজকে দেখতে এসেছেন। কিছু কিছু বাচ্চা এসেও বিরক্ত করছে। আমরা ৩০ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। তবে এর থেকে দাম কিছু কম হলেও বিক্রি করে দেব।
১০-১২ বছর বয়সী শিশু সোহান বলেন, এটা তো দেখতে হাতির মতোই। তা দাঁড়ায় না কেন? সব সময় দেখি শুধু শুয়েই থাকছে। আঙ্কেল, এটার দাম কত?
শিশু বাচ্চার এমন প্রশ্ন শুনে কিছুটা বিরক্ত হয়ে সোহাগের সঙ্গে আসা আরেকজন বললেন, বাবা এখন বিরক্ত করো না তো। যাও, ওকে একটু রেস্ট নিতে দাও। কয়েক ঘণ্টা পর এসো।
সাইদুল নামের একজন বলেন, সকাল থেকে আমি এ হাটের প্রায় অংশই ঘুরে দেখেছি। এটাই এখনও পর্যন্ত আফতাব নগর হাটের সবচেয়ে বড় গরু। তবে ওদের চাওয়া দাম আমার কাছে অনেক বেশি মনে হচ্ছে।
এমএএস/এমএসএইচ/জেআইএম