ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পণ্যের দাম তিনগুণ বাড়লেও চামড়ার দাম কম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৯

চামড়াজাত পণ্যের দাম তিনগুণ বাড়লেও পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে চামড়ার দাম কম বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করতে চামড়া খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ, হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মফিজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে চামড়ার দাম কম। তবে চামড়াজাত পণ্যের দাম তিনগুণ বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে কম দামে পৃথিবীর কোথাও চামড়া পাওয়া যায় কি-না, আমি জানি না।

তিনি বলেন, সরকার চামড়া রফতানি এবং এ খাতে দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা দিচ্ছে। দ্রুত স্থানান্তরের ফলে বর্জ্য শোধনাগার এখনও সম্পন্ন করতে পারিনি। তবে প্রয়োজনে সরকার আরও একটি বর্জ্য শোধনাগার প্লান্ট (সিইপিটি) নির্মাণ করবে।

চামড়া শিল্পের উন্নয়নের জন্য এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আরও দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, কাঁচা চামড়া রফতানি বাড়াতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার বাজার বাড়ানোর জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে সভায় বিএফএলএলএফইএ’র সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার অবস্থা খারাপ। চামড়ার দাম কমেনি কিন্তু আমাদের ক্রেতা কমেছে। কারণ আমরা মানসম্মত চামড়া দিতে পারছি না। ফলে প্রতিযোগিতায়ও যেতে পারছি না। এ খাতে যথাযথ কমপ্লায়েন্স এবং গরমে চামড়া সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, অস্বাভাবিক গরম পড়ায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সঠিকভাবে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ না করলে ভালো মানের ১৫ শতাংশ চামড়াও পাওয়া যাবে না। গত বছরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছে। তাই এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এছাড়া গত বছরের ৬০ শতাংশ চামড়া এখনও অবিক্রিত রয়েছে। এ কারণে এবার দাম কমানোর বিকল্প নেই।

বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে এ শিল্পে ধস নেমেছে। আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। কারণ আমাদের দ্রুত কারখানা স্থানান্তর করে এখনও গুছিয়ে উঠতে পারিনি। সাভারে চামড়া শিল্প নগরিতে এখনও বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি। এছাড়া চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় প্রতি বছর ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়। তবে এ বছর আমাদের পর্যাপ্ত লবণ রয়েছে। ফলে চামড়া সংরক্ষণে সমস্যা হবে না। তবে সঠিক নিয়মে সংরক্ষণের জন্য প্রচারণা বাড়াতে হবে।

বিএইচএসএমএ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, সব মিলিয়ে এখন চামড়া খাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। ট্যানারি মালিকরা সাড়ে তিনশ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রেখেছেন। অন্যান্য ঈদের সময় ১০ থেকে ২০ শতাংশ নগদ টাকা দিলেও এবার সেখানেও টানাটানি চলছে। ফলে এ খাত দিনদিন নিম্নমুখী হচ্ছে।

এমইউএইচ/এমএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন