ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা : বছরে ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

অনুমোদন ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ নিয়ে অবৈধভাবে ইন্টারনেটের ব্যবসা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। রাজধানীতে কয়েকশ’ আইএসপি কোম্পানি অনুমোদন না নিয়ে এসব ব্যবসা করায় সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। সোমবার উত্তরায় র‌্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

সোমবার বিকেল থেকে রাত অবধি রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আইএসপি সরঞ্জাম জব্দসহ দুটি আইএসপি প্রতিষ্ঠানের মালিককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ‘ইন্ট্রানেট বিডি লিমিটেড’ এর মালিক মো. নবীন খান (৩৫) এবং ‘জাকিয়া নেট ইন্টার সার্ভিস প্রোভাইডার’ এর মালিক মো. আলমগীর হোসেন (৪০)।


সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, কিছু ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিনা লাইসেন্সে ইন্টারনেটের সংযোগ প্রদান করে আসছে। সরকারি কোনো বৈধ অনুমোদন ব্যতীত ইন্টারনেটের সংযোগের ব্যবসা করে এরা। ফলে অল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফার এই ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিষয়টি র‌্যাব সদর দফতরের কাছে অভিযোগ আসার পর তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১, এর একটি আভিযানিক দল এএসপি আজমিলা নাসরীন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিটিআরসির সহযোগিতায় রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ২৬ নং রোডের ৭ নম্বর বাড়িতে অনুমোদনবিহীন আইএসপি প্রতিষ্ঠান `ইন্ট্রানেট বিডি লিমিটেড` এর অফিসে অভিযান চালিয়ে মালিক মো. নবীন খান (৩৫) এবং উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের এ/পি- ৭ নং বাসায় ‘জাকিয়া নেট ইন্টার সার্ভিস প্রোভাইডার’ এর মালিক আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ আইএসপি সরঞ্জাম জব্দ করে র‌্যাব।


মুফতি মাহমুদ খান জানান, এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মতো শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনুমোদন ব্যতীত বিভিন্ন আইআইজি থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ নিয়ে বিগত কয়েক বছর যাবত ইন্টারনেট ব্যবসা করে যাচ্ছে।

ফলে সরকার প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অনুমোদনবিহীন ব্যবসার কারণে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গোপনে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে নির্বিঘ্নে অবৈধভাবে এ ব্যবসা তারা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এরা সাধারণত একটি বৈধ আইএসপি থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে একটি ওয়ান ইউজার সংযোগ কিনে নেয়। পরবর্তীতে এই আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে অনেক পাড়া-মহল্লায় সংযোগ প্রদান করে থাকে। এখানে একটি আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে অসংখ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংযোগ প্রদান করা হয়। ফলে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর আলাদা আলাদা আইপি অ্যাড্রেস থাকে না। যার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা ক্রমশ দুরূহ হয়ে পড়ছে।


এই অবৈধ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে অপরাধীরা জঙ্গি তৎপরতা, হুমকি প্রদান এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তবে এসব সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

জেইউ/বিএ