১২ সিটিতে কোরবানির স্থান ২৯৪১
পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের ১২ সিটি কর্পোরেশনে পশু কোরবানির জন্য ২ হাজার ৯৪১ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে ঈদুল আজহায় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ তথ্য জানান। এছাড়া এবার সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গরুর হাটের সংখ্যা ৯৪টি বলেও সভায় জানানো হয়।
আগামী ১২ আগস্ট (সোমবার) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ত্যাগের মহিমায় এ উৎসবে মুসলমানরা মহান আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করে তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, পশু কোরবানির জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৫২০টি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২৭৩টি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ২১০টি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৩১৪টি, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ১৪০টি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ১৪২টি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৩৪টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২৫৮টি, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ১৯০টি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনে ১১৭টি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪৮৭টি এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সারাদেশে কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবেহকরণ ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে গত ১০ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। এ কর্মসূচি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, দফতর, সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানে প্যান্ডেল তৈরি করা হবে। পর্যাপ্ত ইমাম এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাংস প্রস্তুতকারী থাকবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যান থাকবে। পর্যাপ্ত স্যাভলন ও ফিনাইল মিশ্রিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিটি পশুর হাটে উন্নতমানের বর্জ্যবাহী ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। এছাড়া বর্জ্য অপসারণে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হবে।
সিটি কর্পোরেশনের পানিবাহী গাড়ি ছাড়াও ঢাকা ওয়াসা, বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সৌজন্যে পর্যাপ্ত গাড়ি নিয়োজিত হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহা পালন করুক। যারা ঢাকা থেকে যাবেন তারা যেন সবাই সুস্থ অবস্থায় ফিরেন -এটাই আমার প্রত্যাশা।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/আরএস/এমএস