৪০ হাজার লিটার মশা মারার ওষুধ মজুত, তারপরও ধার করছে ডিএসসিসি!
ভান্ডারে ৪০ হাজার লিটার মশা নিধনের ওষুধ মজুত থাকলেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কাছ থেকে ১০ হাজার লিটার ওষুধ ধার করে মশা নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মশা নিবারণ দফতরে ড্রাম ভর্তি ওষুধগুলো পড়ে আছে। ডিএনসিসির কাছ থেকে ধার করা ওষুধও আজকালের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। হাজার হাজার লিটার মশা নিধনের ওষুধ মজুত থাকার পরও কেন ধার করা হলো তা জানতে মাঠে নেমেছে দুদক।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে দুদকের একটি দল নগরভবনে ডিএসসিসির ক্রয় ভান্ডারেসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে ৪০ হাজার লিটার মজুদ থাকলেও কেন ব্যবহার হয়নি, কেন ধার করতে হলো, ওই ওষুধের আমদানি কবে করা হয়েছিল, একই চালানের মালামাল কোথায় কত ব্যবহৃত হয়েছে সেসব তথ্য সংগ্রহ করে। দুদকের টিমের জিজ্ঞাসাবাদে ডিএসসিসির কর্মকর্তারা ফাইল নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
ডিএসসিসির ভান্ডারে ও ক্রয় কর্মকর্তা (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) মো. লিয়াকত হোসেন দুদক কর্মকর্তাদের জানান, তাদের কাছে ৪০ হাজার লিটার মশার ওষুধ মজুত আছে-এ কথা সত্যি কিন্তু এ ওষুধ মজুত থাকলেই ব্যবহার করা যায় না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ (আইইডিসিআর) তিনটি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে ব্যবহার উপযোগী সনদ পাওয়া গেলেই শুধু তা ছিটানো যায়, তার আগে নয়। এ কারণে তারা ডিএনসিসির কাছ থেকে ধার করতে বাধ্য হন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে তথ্য রয়েছে মজুত থাকা এ ওষুধ নয়ছয় করার অপচেষ্টা চলছিল। তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে গত প্রায় দুই মাস ধরে ডেঙ্গুর মারাত্মক প্রকোপ চলছে। যদি তিনটি ল্যাবেরেটরিতে পরীক্ষা করানোর নিয়ম থাকে তাহলে কেন দু’মাস আগে তা তিনটি ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হয়নি। এখানে সত্যিকার অর্থেই কারও গাফিলতি রযেছে কি-না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
এমইউ/এসআর/এমকেএইচ