মাইক হাতে চিকিৎসক
ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা তৈরি করতে ‘মাইক হাতে চিকিৎসক’ নামে প্রচারাভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির নেতৃত্বে চিকিৎসকরা এমন এক সময় এ প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন, যখন রাজধানীর প্রতিটি হাসপাতালে রয়েছে ডেঙ্গু রোগীর বাড়তি চাপ।
সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজধানীর কাওরানবাজার থেকে এ প্রচারাভিযান শুরু হয়। এরপর ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ এলাকায় এ প্রচারাভিযান চালানো হয়। প্রচারাভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটির প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজি।
প্রচারাভিযানের সময় ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, কারও দুদিনের বেশি জ্বর, অনিয়মিত প্রস্রাব হলে তা ডেঙ্গুর লক্ষণ। বিশেষ করে এ লক্ষণ শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গুর কোনো লক্ষণ দেখা গেলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ডেঙ্গু হলে ভয়ের কিছু নেই। ডেঙ্গু জ্বরের প্রথম দুদিন নিরাপদ। তবে তিন থেকে পাঁচদিনের সময়গুলো বিপজ্জনক। ডেঙ্গু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাসপাতালটির ডেঙ্গু সেলের দায়িত্বে থাকা ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, এডিস মশার ডিম এক বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। কিন্তু পরিষ্কার পানি পেলে তিনদিনের মধ্যে লার্ভা থেকে মশা হয়ে যায়। খেয়াল রাখতে হবে পরিষ্কার পানি তিনদিনের বেশি যেন জমে না থাকে। একটা এডিস মশা প্রায় ১৫ দিন বাঁচে এবং একটি মশা অনেক মানুষকে কামড় দিতে পারে। তবে ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত হবেন না।
প্যানেল মেয়র ডেইজি বলেন, আমরা আজ প্রথমবারের মতো এ অভিযান শুরু করলাম। আমরা চিকিৎসকদের হাতে মাইক তুলে দিয়েছি। কারণ, জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। চিকিৎসকরা জনগণকে ডেঙ্গু সম্পর্কে জানিয়েছেন। তারা ডেঙ্গু হলে কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না- এসব বিষয়ে জনগণকে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। এ কথাগুলো শুনে পাঁচজনও যদি সতর্ক হয়, তাহলেই আমাদের স্বার্থকতা।
প্রচারাভিযানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫ এর উপ-সচিব মীর নাহিদ আহসানসহ ঢাকা শিশু হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
পিডি/আরএস/এমএস