ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লাখ টাকার দাবিতে অপহরণ করা হয় সাহাদাতকে

প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মোটর গ্যারেজ কর্মচারী নাসির উদ্দিনের পূর্ব পরিকল্পনায় এক লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে মো. শাহাদাত হোসেনকে (২৭) অপহরণ করেছিল অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। সোমবার রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়ায় র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির।

তিনি বলেন, রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোটর গ্যারেজে কর্মরত অপহরণকারী চক্রের সদস্য মো. নাসির উদ্দিনই সাহাদাতকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে কৌশলে সাহাদাতকে সাভারের বারেহচর এলাকা থেকে ডেকে আনেন। এরপর গাবতলী বাস টার্মিনালের পূর্বপাশের ওই গ্যারেজে শাহাদাতকে আটকে রাখা হয়।

অপহরণকারী চক্রের অপর দুই সদস্য শাওন আহমেদ হানিফ (২১) ও তৌফিক হাসান অভি (২০) সাহাদাতকে জিম্মি করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তার মুখ বেঁধে জনসেবা পরিবহনের একটি বাসের ভেতরে রেখে দেয়।

অপহরণকারীরা সাহাদাতের পিতা শাহ জাহানকে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। জীবন নাশের হুমকি দিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর শাহ জাহানের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

পরে অপহৃতের পিতা সাভার থানায় ছেলে নিখোঁজ মর্মে সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং-৬৭১)। পরে তিনি নবীনগর র‌্যাব-৪ এর ক্যাম্পে অভিযোগ দাখিল করলে র‌্যাব সাহাদতকে উদ্ধারে তৎপর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত রোববার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭ টার দিকে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন গাবতলীর বাস টার্মিনালের পূর্বপাশে সাইফুল ইসলামের মোটর গ্যারেজে অভিযান চালায়। র‌্যাব সেখান থেকে অপহৃত শাহাদাত হোসেনকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা শাওন আহমেদ হানিফ (২১) এবং অপর দুই সদস্য নাসির উদ্দিন (২৩) ও তৌফিক হাসান অভিকে (২০) আটক করা হয়।

একই সঙ্গে মুক্তিপণ আদায়ের কাজে ব্যবহৃত দুটি সিম, দুটি নকিয়া মোবাইল সেট ও তিন হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক।

জেইউ/এসআইএস