হাসিমুখে ঘরে ফিরবে তো দাদা-নাতি?
দাদির ডেঙ্গু জ্বর শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত থেকে, বমিও আছে। জ্বরের রাত থেকেই সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দাদি। মা ব্যস্ত দাদির যত্ন-আত্তিতে। এ দিকে দাদিকে দেখতে শনিবার সুদূর পটুয়াখালীর দুমকি থেকে এসেছেন দাদা। মা ব্যস্ত থাকলেও দাদাকে পেয়ে তার কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল সাত মাসের তাইবা।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনে এ চিত্র দেখা যায়। হাসপাতালের সামনের দেয়ালের ওপর বসে পা দুটো সামনে এলিয়ে দিয়ে বসেছেন ইউসুফ ফরাজী। সেখানেই নাতিকে শুয়ে ঘুম পাড়াচ্ছেন তিনি।
ইউসুফ ফরাজী বলেন, ‘ওর দাদি অসুস্থ। ওর বাবা টেস্ট করানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে। ওর মা আছে শাশুড়ির সঙ্গে। তাই আমি ওকে নিয়ে বসে আছি।’
কথার মাঝখানে আসেন তাইবার বাবা মো. কামাল ও তার মা। কামাল জানান, স্ত্রী, সন্তান আর মাকে নিয়ে রাজধানীর বছিলায় থাকেন। বাবা ইউসুফ ফরাজী থাকেন গ্রামে। বছিলার বাসায় তার মা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তার মায়ের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। তাই মা সুস্থ হলে দাদা-নাতিসহ শিগগিরই তারা বাড়ি ফিরবেন বলে আশা কামালের।
এ বছর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজারও মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ডেঙ্গুতে প্রাণহানির শিকারও দেশে ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
পিডি/এএইচ/জেআইএম