২ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৩৪০৫
রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গত দুইদিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ জন রোগী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৭ জন রোগী। মোট রোগীদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬২২ জন, বেসরকারিতে ৩৭০ জন ও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ৬৯১ জন ভর্তি হন। বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৫৮২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শয্যার অভাবে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে ওয়ার্ডের ফ্লোরে, ভেতরে-বাইরের বারান্দা ও করিডোরে।
চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী অন্যান্য সহযোগী স্টাফ সংকটের কারণে রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে রোগীর স্বজনরাই শয্যাপার্শ্বে বসে থেকে রোগীর যত্ন নিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গত দুইতিন ধরে ডেঙ্গু রোগীদের অনেককেই ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ডেঙ্গু পরীক্ষা করে ধরা পড়ার পরও রোগীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করতে হবে বলে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে একদিনের জ্বরে একাধিক রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ও মৃত্যুর সংবাদে অনেকেই বাসায় রেখে চিকিৎসা করাতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
এদিকে, ডেঙ্গুজ্বর সন্দেহে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে জ্বরের রোগীর ভিড় বাড়ছে।
চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মোট ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ২৩৫ জন রোগী। জানুয়ারিতে ৩৭, ফেব্রুয়ারিতে ১৯, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মেতে ১৯৩, জুনে ১৭৬৩, জুলাইয়ে ১৫৬১৪ ও আগস্ট মাসের দুইদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ভর্তি ১ হাজার ৬৮৭ রোগীর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৩, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৫, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩৩, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১১৮, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৩১, বারডেম হাসপাতালে ১৭, বিএসএমএমইউতে ২৯, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ১৯, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৪, বিজিবি হাসপাতাল পিলখানায় ৫, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ৫৬ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৭০ জন।
এদিকে, রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৯১ জন। ঢাকা বিভাগে ১৯০, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৯, খুলনা বিভাগে ৯১, রংপুর বিভাগে ৩৮, রাজশাহী বিভাগে ৮৭, বরিশাল বিভাগে ৭৭, সিলেট বিভাগে ১১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৮ জন ভর্তি হয়েছেন।
এমইউ/এসআর/এমকেএইচ