ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভুয়া সিল-প্যাডে আইজিপির নামে চাঁদাবাজি!

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৯

পুলিশের ভুয়া সিল-প্যাডে আইজিপি স্বাক্ষরিত চিঠি বিতরণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আদায় করে আসছিলেন টিপু মিয়া। সম্প্রতি বেসরকারি সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আইজিপি পরিচয়ে টাকা চেয়ে চিঠি পাঠান তিনি। বিষয়টি সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইজিপির কাছে জানালে এটি প্রতারণা বলে নিশ্চিত হন। এরপরই ডিবি পুলিশের কাছে ধরা পড়েন তিনি।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে প্রতারক টিপু মিয়াকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা জীবনে উচ্চ মাধ্যমিক ফেল টিপু মিয়া ওরফে মমিনুল হক (৩৫)। টিএম ট্রেডার্স নামের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের চিঠি আদান-প্রদানের সুযোগে এক অভিনব প্রতারণার কৌশল রপ্ত করেন। পরে চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তর প্রতারক বনে যান। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিবস সামনে রেখে ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট ছাপানোর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা চেয়ে চিঠি পাঠাতেন তিনি। এ জন্য পুলিশের লোগো ও প্যাডে মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) উচ্চপদস্থদের নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করতেন।’

বাতেন আরও বলেন, প্রতারণার জন্য টিপু মিয়া আইজিপিসহ পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে আসছিলেন। পুলিশের লোগোসহ ভুয়া প্যাডে নিজেই কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে টাকা চেয়ে চিঠি পাঠাতেন। পুলিশ সপ্তাহ, শোক দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন প্রকাশের জন্য বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতো। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়ে ফোনে টাকা প্রদানের জন্য চাপ দিতো। টাকা দিতে রাজি না হলে হুমকি দিতেন তিনি।’

আব্দুল বাতেন বলেন, ‘টিপু মিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

জেইউ/এনডিএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন