আধুনিকায়ন হচ্ছে শাহ আমানত বিমানবন্দর
প্রায় ১৭ বছর পর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরটির রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বাড়ানো হবে। এ আধুনিকায়নের কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৮-২০০১ মেয়াদে বিমানবন্দরটির মানোন্নয়ন করা হয়েছিল।
এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব আগামীকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। কমিটি ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন দিলে মেসার্স মীর আখতার-সিএএমসিই জয়েন ভেঞ্চার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিগত ১৯৯৮-২০০১ সময়ে জাপানের অর্থায়নে এ বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হয়েছিল। ওই সময়ে রানওয়ে সম্প্রাসরণসহ বিটুমিনাস কংক্রিটের মাধ্যমে বিদ্যমান রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধিকরণ কাজও সম্পাদন করা হয়েছিল। তখন রানওয়ের পেভমেন্ট ক্লাসিফিকেশন নম্বর (পিসিএন) ছিল ৬৬, যা ডিসি-১০-৩০ জাতীয় বিমান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, বর্তমানে এ বিমানবন্দরে বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমান চলাচল করছে। এদিকে রানওয়ের বিটুমিনাস কংক্রিটের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং পিসিএন অনেকাংশে কমেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে যাত্রী, কার্গো ও বিমান চলাচলের সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে। বিআরটিসি বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী, রানওয়ের বর্তমান পিসিএন ৪৬ কিন্তু বোয়িং ৭৭৭ জাতীয় বিমান চলাচলের পিসিএন দরকার ৯০।
এ অবস্থায়, বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমানের নিরাপদ অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য চট্রগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালী করতে জিওবি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ৫৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় বলে জানা গেছে।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম