ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বন্যার একটি ছবি ভাবাচ্ছে মন্ত্রী মান্নানকে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৯

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে ভাবাচ্ছে দেশের বন্যার একটি ছবি। তিনি বলেছেন, ‘দু-একদিন আগে কাগজে দেখেছি, উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে। বাঁধের ওপরে মানুষ ঘর বেঁধে আছে। ৫০ বছর আগে যখন বন্যা হতো, তখন এ ধরনের ছবি আমি দেখতাম। প্রায় একই রকম, আমার মনে আছে। প্রায় ৫০ বছর পরে এসেও একই ব্যক্তি, একই চেহারা। একই ধরনের কাপড় পরা, আমার বাপ-চাচার যেমন দাড়ি ছিল। দুটা গরু, একটা ছাগল নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। তাহলে ৫০ বছরে এত উন্নয়ন করে আমরা এখানে এসেছি, তাহলে এই ছবি কেন? আমার কাছে জবাব নাই আসলে। আমি জবাব দিতে পারব না।’

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘অ্যাডভান্সিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড রেজিলেন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট টার্গেটেড এট দ্য আরবান’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

আলোচনায় আরও একটি ঘটনার ওপর আলোকপাত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। দ্বিতীয় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বলা যায়, পঞ্চাশের দশকে আমরা বর্তমানের তুলনায় অনেক দরিদ্র ছিলাম। মাছাপিছু আয় অনেক কম ছিল। কিন্তু তখন ঢাকা, চট্টগ্রামে এত বস্তি ছিল না। উন্নয়নের এত বছর পরে দেখি, বস্তির সংখ্যা অনেক অনেক বেশি!’

তিনি আরও বলেন, ‘তখন এত গর্ত ছিল না, পরিচ্ছন্ন ছিল রাস্তাঘাট। খাবার পানি পাওয়া যেত। ফুলবাড়িয়া স্টেশনে নামতাম, বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে রিকশা নিয়ে বা ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে চলে যেতাম। এখন সেই দিন আর নেই।’

‘এত উন্নয়নের পরে এসে এই দুটো প্রশ্নের জবাব আমরা পাচ্ছি না’, মন্তব্য পরিকল্পনামন্ত্রীর।

বস্তিতে মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘মাথাপিছু আয় সার্বিকভাবে বেড়েছে। আমার বিশ্বাস, নিম্ন আয়ের মানুষের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। কিন্তু জীবনমান যেটাকে বলা হয়, সেটা পরিবর্তন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।’

‘অথচ সারাবিশ্বে যে প্রযুক্তি ব্যবহার, তা বাংলাদেশও করছে। বিদ্যুৎ চলে এসেছে সব জায়গায়। কিন্তু আমরা ওই মানুষগুলোর জীবন অভ্যন্তরীণভাবে উন্নত করতে পারিনি’- বলেও মন্তব্য করেন এম এ মান্নান। তার বক্তব্য, ‘এগুলো জলবায়ু সমস্যা নয়, সামাজিক সমস্যা।’

সংশ্লিষ্টদের বস্তি উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমানো হবে।

উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আঞ্চলিক প্রতিনিধি অর্ঘ্য সিনহা রায়, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইইডি) প্রতিনিধি ডেভিড ডডম্যান, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রমুখ।

পিডি/জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন