রামপুরায় পুলিশের লাঠিচার্জ-গুলি, ওসিসহ আহত ২
রাজধানীর রামপুরায় এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ চলাকালে শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাশাপাশি গুলিও ছোড়া হয়।
অবরোধে শ্রমিকরা একটি গার্মেন্ট ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ ও তেজগাঁও বিভাগের এক সহকারী কমিশনার (এসি) আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সড়ক অবরোধের একপর্যায়ে শ্রমিকরা এক হয়ে ইজি গার্মেন্টে হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় পুলিশ অ্যাকশনে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডিসি বলেন, সকালে ইজি গার্মেন্টে দেলোয়ার নামে কাটিং বিভাগের এক শ্রমিককে চোর সন্দেহে মারধর করে ওই গার্মেন্টের কয়েকজন কর্মী। গার্মেন্টের লোকজন জানান, দেলোয়ার নাকি ওই গার্মেন্টের জানালা দিয়ে কাপড় নিচে ফেলছিলেন। এরপর তারা তাকে মারধর করে হত্যা করে। পুলিশকে না জানিয়ে ইজি গার্মেন্ট দেলোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার মৃত্যুর পর পুলিশ বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারে। এ ঘটনায় আরেকজন আহত হন। তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি।
তিনি বলেন, ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ায় ইজি গার্মেন্টের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার করা হবে।’
‘দেলোয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর পোশাক শ্রমিকরা রামপুরা সড়ক অবরোধ করে। পরে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই’ -যোগ করেন ডিসি।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে বন্ধ থাকা রামপুরা সড়কটি বিকেল পৌনে ৫টায় খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল করলেও প্রচণ্ড যানজট রয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, রামপুরা সড়কের একপাশের যানজট মালিবাগ মোড় এবং আরেক পাশে উত্তর বাড্ডায় গিয়ে ঠেকেছে। পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
এআর/এসআর/এমকেএইচ