ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পুরান ঢাকা থেকে সরানো হচ্ছে রাসায়নিকের গুদাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবসহ পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) “অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্প সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়া হেয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পুরান ঢাকায় একটি দুর্ঘটনা হয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত হয় যে, রাসায়নিক দ্রব্য ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গুদাম তৈরি করতে হবে। গুদাম তৈরি করার জন্য এ প্রকল্পটি জরুরিভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে একনেকে অনুমোদন পায়। সেখানে বলা হয়েছে, কিছুটা আইন-কানুনে শিথিলতা এনেও যাতে দ্রুত করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘এ গুদামগুলোর নিয়ম হলো আমাদেরকে ওপেন টেন্ডার করতে হয়। ওপেন টেন্ডার করতে হলে অনেক সময় লেগে যাবে। কিছু টেকনিক্যাল ডিফিকাল্ট আছে আমাদের। সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার জন্য অনুমোদন পেয়েছি।’

সভায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৫০০ শয্যার মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য বেসরকারি অংশীদার হিসেবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং গুলশান সেন্টার পয়েন্টের মধ্যে চুক্তির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া পিপিপির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘বে টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণ; বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক বাস্তবায়নাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, সিলেট’ শীর্ষক প্রকল্পের পিপিপি মডেলের পরিবর্তে সরাসরি পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে জমি বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব; প্রস্তাবিত ড্রাফট অনশোর মডেল পিএসসি ২০১৯ এবং প্রস্তাবিত ড্রাফট অফশোর মডেল পিএসসি ২০১৯ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে সমুদ্রসীমা পেলাম তা এখনো ব্যবহার করতে পারি নাই। পানির নিচে যে সম্পদগুলো আরও স্টাডি করতে হবে এবং বিদেশি কোম্পানিকে ইনভাইট করা হচ্ছে। অনশোর এবং অফশোর মিক্স করে ফেলেছিলাম, অনশোরে খরচ কম এবং অফশোরে খরচ বেশি এবং প্রাইসও দেবে বেশি। এখন প্রাইজ অনশোরটা ৬ পয়েন্ট ৫ এবং অফশোর ৭ পয়েন্ট ২৬ সেন্ট করেছি। এ প্রাইজ থাকবে না, কারণ সে সময়ে যে বাজার দর এশিয়ার দরে নির্ধারিত হবে। এখন থেকে ২০ বছর পর পেলে সে সময়ের দামে হবে।’

এমইউএইচ/এসআর/এমএস

আরও পড়ুন