৬০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকার গরু মেঘডুবিতে
সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা মূল্যের গরু পাওয়া যাবে মেঘডুবি এগ্রো খামার থেকে। এমনটাই জানিয়েছেন এগ্রোটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় মেঘডুবি এগ্রোর ৪ নম্বর শাখায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশুর পরিচর্যা করছেন সেখানকার কর্মীরা। খাবার দেয়ার পাশাপাশি গোসল করানো হচ্ছে।
সেখানেই কথা হয় মেঘডুবি এগ্রোর স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী শাহিনের ভাই প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তারেক মাহমুদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশের ১৫টি শাখায় কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রায় ২ হাজার ২০০ গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো পশুর হাটে এসব গরু বিক্রি করা হবে না। শুধু মেঘডুবির নির্ধারিত শাখা থেকেই ক্রয় করা যাবে। যেকোনো ক্রেতা ঈদের পরদিন পর্যন্ত খামারে রাখার সুবিধাসহ বাড়ি পৌঁছে দেয়ার সুবিধা পাবেন।’
তারেক জানান, গত বছর কোরবানির ঈদে ১ হাজার ২০০ গরু বিক্রি করা হয়েছিল। ঢাকায় ৫টি; কুষ্টিয়া, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, শ্রীমঙ্গলসহ ১৫টি শাখা থেকে এসব গরু বিক্রি করা হয়।
এ খামারের একটি বিশেষত্ব হলো বিভিন্ন নাম রাখা হয় বাছাই করা গবাদিপশুর। নাম রাখা পশুগুলো খামারের অন্যান্য শাখায় রেখে পরিচর্যা করা হয়। এসব পশুর কিছু ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।
এখানকার গবাদিপশুর যত্নের ধরনটাও একটু আলাদা। তারেক মাহমুদ জানান, মেঘডুবি এসব পশুদের ভুসি খাওয়ায় না। তাদের মৌসুমি বিভিন্ন ধরনের ফসল খাওয়ানো হয়।
গরুর সৌন্দর্যের ওপর মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গরুর সৌন্দর্যের ওপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। আপনি লাইভ (জীবন্ত) ওজন করে কোরবানির জন্য গরু কিনতে পারেন না। আমরা ওইভাবে গরু বিক্রি করি না।’
গরুর দাম কমবেশি সম্পর্কে তারেক বলেন, ‘চাঁদ রাতের আগে এটা অনিশ্চিত। বাজারে গরুর দাম কমবেশি হওয়ার প্রভাব ফার্মের গরুতে পড়ে না।’
এইউএ/এসআর/পিআর