স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে চালু হবে এমআরটি-৬
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটির কাজ হবে। এমআরটি-৬ এর কাজ শেষ হবে ২০২১ সালে। এর মাধ্যমে ঢাকার চেহারাই বদলে যাবে। আমরা সবাই এই সোনালী দিনটির জন্য তাকিয়ে আছি। সবগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেলে আশা করছি দ্রুতই জনগণ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
আজ রোববার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সময়বদ্ধ পরিকল্পনার ব্র্যান্ডিং বিষয়ক সেমিনার এবং লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ মানেই মেট্রোরেল নয়। আমাদের মেট্রোরেলের কাজ এমআরটি-৬ দিয়ে শুরু হয়েছে। আরও ৫টি এমআরটি লাইন আছে। এর মধ্যে এমআরটি-১ ও ৫ এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুটি অংশে বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) ও পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। এমআরটি-১ ১৬ কিলোমিটার ও এমআরটি-৫ ১৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাতাল রেলও আছে।
তিনি বলেন, ‘ছয়টি লাইনের কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। এই সময় টার্গেট করেই আজকের এই ব্র্যান্ডিং সেমিনার। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই কাজে অনেক অপরচুনিটিও রয়েছে। ওভার পপুলেটেড সিটির মানুষকে স্বস্তি দেয়াটাও আমাদের দায়িত্ব। সে চেষ্টাটা অব্যাহত রয়েছে। যাতে করে এত বড় একটা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ চলাকালে…পাবলিক সাফারিং আমাদের মাথায় আছে। সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা করছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমআরটি-৬ এর প্রথম ভাগের কাজ শেষ হলে এই লাইনের পাবলিক সাফারিং উপাদানগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়া হবে। যে মেশিনারিজ রয়েছে তা-ও সরানো হবে। নতুন করে রাস্তা হবে। জনগণ স্বস্তি পাবে। আর জনগণকে অনুরোধ করব, এত বড় প্রজেক্ট শেষ করতে হলে একটুতো কষ্ট হবেই।’
এমআরটি লাইন-৬ তিন বছরের আগেই শেষ হচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে উদ্বোধন করা হবে। সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থাপনায় দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘গুলশান হলি আর্টিসান হামলার মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরও জাপান জাইকা হতাশ করেনি, কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করে চলেছে।’
ঢাকাকে বাসযোগ্য শহরে পরিণত করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজও এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে দ্রুতগতির যোগাযোগের বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণ সমাজ বদলে যাওয়া পৃথিবীর কাছে নতুন বাংলাদেশকেই দেখতে পাবে।
‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠানো হয়েছে। বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের যে প্রকল্প তা এশিয়ান ডেভেলপমেন্টকে দেয়া হয়েছে। এই ফোর লেনের কাজে এডিবি ফান্ডিং করবে’-যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
জেইউ/এসআর/জেআইএম