বিমানবন্দর সড়কে লিফট-এস্কেলেটর সুবিধার আন্ডারপাস, খুলছে আগামী বছর
>> অত্যাধুনিক আন্ডারপাসটিতে থাকছে লিফট ও এস্কেলেটরের সুবিধা
>> হুইল চেয়ারে চলাচলকারীরাও আন্ডারপাসটি ব্যবহার করতে পারবেন
>> চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে
আগামী বছর থেকে ব্যবহার করা যাবে ঢাকা বিমানবন্দর মহাসড়কের শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে নির্মাণাধীন অত্যাধুনিক পথচারী আন্ডারপাস।
আজ রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা সেনানিবাসের সেন্ট্রাল অর্ডন্যান্স ডেপো (সিওডি) এলাকায় (শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপরীতে) এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গত বছরের ২৯ জুলাই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকা সেনানিবাস সংলগ্ন এমইএস বাসস্টপ এলাকায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি দিক-নির্দেশনায় ঢাকা বিমানবন্দর মহাসড়কে বীরসপ্তক ক্রসিং পয়েন্টের কাছে এই আন্ডারপাস নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য সদর দফতর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। অত্যাধুনিক এই আন্ডারপাসে লিফটের পাশাপাশি থাকবে এস্কেলেটর ব্যবহারের সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১২ আগস্ট আন্ডারপাসটির নির্মাণ উদ্বোধন করেন। এরপর জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিবন্ধ অত্যাধুনিক প্রকল্পটির কাজ গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্ত ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাদেক মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাদেক মাহমুদ বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রকল্প। বাংলাদেশে এর আগে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্য কোনো প্রকল্প নির্মাণ করা হয়নি। এই আন্ডারপাস দিয়ে সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা নিরাপদে রাস্তা পারাপার হতে পারবেন। এমনকি যারা হুইল চেয়ারে চলাচল করেন তারাও এই আন্ডারপাস ব্যবহার করতে পারবেন। অত্যাধুনিক এই আন্ডারপাসে লিফট ও এস্কেলেটর থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আন্ডারপাসের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্ডারপাসের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর আন্ডারপাস সর্বসাধারণের রাস্তা পারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
এমএএস/এসআর/এমএস