‘দুর্নীতি’ শব্দই উচ্চারণ করিনি : ইকবাল মাহমুদ
‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি সরল বিশ্বাসে কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সেটি অপরাধ বলে গণ্য হবে না’ এমন বাক্য মিসকোড হিসেবে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য একেবারেই সহজ। ডিসি কনফারেন্সের পরে, একটা প্রশ্নের বিপরীতে আমি যে উত্তর দিয়েছিলাম, সেটার ভিডিও ক্লিপস আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে আছে। যদিও সেটা আমি দেখি নাই। ‘দুর্নীতি’র কোনো শব্দই আমি উচ্চারণ করি নাই। আপনারা দেখে থাকতে পারেন। ‘দুর্নীতি’ শব্দটি কীভাবে আসলো, আই হ্যাভ নো আইডিয়া।
‘দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় ‘সরল বিশ্বাসে’ বাক্যটির প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ দাবি করেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত ওই সেমিনার হয়।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যারা শব্দটি এনেছেন, দায় তাদের। আমার দায় না মোটেও। আমি ব্যাখ্যা দিতেও প্রস্তুত নই। সাংবাদিকরাই আমাকে পরিষ্কার করতে বলেছিলেন সেসব। পরিষ্কার করেছি। সুতরাং আমার কোনো দায় নেই।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার মতো সৎ সাহস ও মানসিক শক্তি আমার আছে। অন্তত আমি যদি কোনো ভুল করি, তাহলে জাতির কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে আমার কোনো লজ্জা বা কুণ্ঠাবোধ নাই। কারণ, আমি নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে চাই।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের পঞ্চম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘পেনাল কোড অনুযায়ী, সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম অপরাধ না। তবে সরল বিশ্বাস যেন সরল বিশ্বাসই হয়, তা নিশ্চিত হতে হবে।’
আজ এ বিষয়ে পরিষ্কার করে তিনি বলেন, ‘পেনাল কোডেই বলা আছে যে, সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম অপরাধ নয়। কিন্তু এখানে শর্ত আছে যে, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে কাজটা সরল বিশ্বাসেই করা হয়েছে।’
জেইউ/জেডএ/জেআইএম