ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র থাকতে পারে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ২০ জুলাই ২০১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে প্রিয়া সাহার মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এর পেছনে অসৎ কোনো উদ্দেশ্য বা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে শনিবার (২০ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিক্রিয়া জানালো সরকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যে ভয়ঙ্কর মিথ্যা অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ ও কঠোর নিন্দা জানায়। এর পেছনে বাংলাদেশের মারাত্মক ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করছে সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি বাতিঘর, যেখানে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের মানবিকতা ও উদারতা বিশ্বব্যাপী প্রসংশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার আশা করে এ ধরনের বড় আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের আয়োজকরা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাবেন, যারা ধর্মীয় স্বাধীনতার মূল্য বৃদ্ধিতে সত্যিকারের অবদান রাখবে।

গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’

জেপি/আরএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন