সারাদেশে দুদকের চার অভিযান
সারাদেশে চার জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে রাজধানীর বনশ্রীতে রাজউকের নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করায় শীতল প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক।
এর আগে নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে দুই দফা নোটিশ দেয়া হয় শীতল প্রপার্টিজকে। কিন্তু চূড়ান্ত নোটিশ অমান্য করলে নির্মিত অংশ উচ্ছেদের সুপারিশ প্রদান করে দুদক টিম।
এদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয় দুদক টিম।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা বিতরণে অনিয়ম প্রতিহত করেছে দুদক। অভিযোগ আসে, সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়িয়া শাখা ব্যবস্থাপক ও ৩ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের যোগসাজশে শ্রমিকদের স্বাক্ষর ও টিপসই জাল করে টাকা উত্তোলনের অপচেষ্টা চলছে।
তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের এনফর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ওই শাখার ব্যবস্থাপককে ফোন করে শ্রমিকদের অর্থ যথানিয়মে যাচাই-বাছাই করে বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। দুদকের সুপারিশ আমলে নিয়ে অর্থ প্রদানে অধিকতর ও সচেতন হবেন বলে শাখা ব্যবস্থাপক দুদককে অবহিত করেন।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কাকু খোলাপূর্বপাড়া গ্রামের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে অবৈধভাবে গৃহনির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করে দুদক এনফর্সমেন্ট ইউনিট।
দুদক টিমের পত্রপ্রাপ্তির পরিপেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী কমিশনার ভূমি বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেন এবং অবৈধভাবে নির্মিত গৃহ উচ্ছেদে মোকদ্দমা দায়ের করে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এমউই/বিএ