ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের জন্য প্রস্তুত হোন
জেলা প্রশাসকদের ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের (চতুর্থ শিল্প বিপ্লব) জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের চতুর্থ দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে কানেক্টিভিটি (সংযোগ) তৈরি করা। এটা আমাদের কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি)। এ কমিটমেন্ট রক্ষার জন্য আপনি যেভাবেই দেখেন না কেন, আমি যদি রেলপথ, নৌপথ, সড়ক পথের মতো আমার ইন্টারনেটের পথ তৈরি করতে না পারি তাহলে যে বাংলাদেশের কথাই বলি, ডিজিটাল বলি আর যাই বলি কিছুই হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য যেটা ইম্পরট্যান্ট (গুরুত্বপূর্ণ) সেটা হচ্ছে, আমরা এবার গ্রামগুলোকে শহর বানাতে চাইছি। গ্রামগুলোকে শহর বানানো মানে কেবলমাত্র গ্রামগুলোতে বিল্ডিং বানানো কিংবা রাস্তাঘাট পাকা করা কিংবা মানুষের যে অবস্থান আছে সেটা পরিবর্তন করা তা নয়।
‘আমরা যে সময়টাতে বাস করে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, ডিজিটাল রূপান্তর সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। আমাকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেই রূপান্তরটা করতে হবে। সামনের দিনে আপনি কৃষি থেকে শুরু করে হেন কিছু পাবেন না যেখানে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করব না।’
তিনি বলেন, আমি যদি কোথাও একটা ফাইবার বসাতে চাই তাহলে ওই খানে আমার ফাইবার বসানোর লোকটার নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা লাগে। রাস্তা কাটার জন্য তার অনুমতির দরকার হয়। জেলা প্রশাসকরা আমাদের সন্তানের বয়সী, আমার অন্ততপক্ষে…। আমি আশাবাদী, তারা নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াবেন। প্রশাসনে পরিবর্তন আসছে। কাজের দিক থেকে ডিজিটাল হচ্ছে। ডিজিটাল প্রশাসন রূপান্তর করা- এটাও আসলে তৃণমূল থেকে করতে হবে। তাদের (জেলা প্রশাসক) আমরা এটা বলেছি যে, আপনারা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের জন্য প্রস্তুত হোন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের টাইমলাইন একুশ সাল। এ সময়ের জন্য যা যা করণীয় আছে তার জন্য তৈরি হোন। আমি মনে করি, আমাদের জনগণ কোনো অবস্থাতেই পেছনে পড়ে থাকবে না। সুতরাং তারাও তাদের সহযোগিতা করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের দিক থেকে কমিটমেন্টটা এ রকম যে, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বোঝাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে, প্রত্যেক মানুষের কাছে এ কানেক্টিভিটি যেন তৈরি হয়। জেলা প্রশাসকরা এ বিষয়ে অত্যন্ত উৎসাহী এবং তারা সহযোগিতা করবেন।
এইউএ/এমএআর/পিআর