সিডিএর তৈরি ফ্লাইওভারের দায়িত্ব চসিককে হস্তান্তরের নির্দেশ
টোল আদায় নিয়ে বিতর্কের পর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নির্মিত ফ্লাইওভারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রন্ত একটি চিঠি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বরাবর পাঠানো হয়েছে।
আখতারুজামান ফ্লাইওভারে টোল আদায়ে সিডিএর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে এ ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ফ্লাইওভারের দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।
সূত্র জানায়, আখতারুজামান ফ্লাইওভারে টোল আদায়ে সিডিএর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ এ বিষয়ে মতামত চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ফ্লাইওভারে টোল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকা ও টোল আদায়ের স্থানীয় জনগণের বিরোধিতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব চমেকের অনুকূলে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালের জুনে ১৩৩১.৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪ মিটার প্রস্থের বহদ্দারহাট জংশনে এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, ২০১৫ সালের জুনে ১১০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮.৫ মিটার প্রস্থের কদমতলী জংশনে কদমতলী ফ্লাইওভার, ৫৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮.৫ মিটার প্রস্থের দেওয়ানহাট জংশনে দেওয়ানহাট ওভারপাস এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ৬.২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৬.৫ মিটার প্রস্থের লালখান বাজার হতে বহদ্দারহাট পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে সিডিএ। নির্মাণের পর থেকেই এসবের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়দায়িত্ব সিডিএ পালন করে আসছিল।
আবু আজাদ/এমএসএইচ/জেআইএম