হাইকোর্টের নির্দেশনা মানছে না মিটফোর্ডের ওষুধ ব্যবসায়ীরা
রাজধানীর ওষুধের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড। হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে এ এলাকায় এখনও বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। রাজধানীর অন্য এলাকায়ও একই অবস্থা।
মঙ্গলবার বংশাল ও মিটফোর্ড এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান করে এসব প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ অভিযোগে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে অধিদফতর।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান ও মাসুম আরেফিন।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ। কিন্তু ওষুধ মেয়াদহীন ও ভেজাল হলে তা নিরাময় নয়, মরণ হবে। এজন্য মহামান্য হাইকোর্ট ফার্মেসিতে বিক্রি হওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা আইনকে তোয়াক্কা করছে না। আমরা এসব অসৎ ব্যবসায়ীকে ধরছি এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দিচ্ছি।
এরই অংশ হিসেবে আজ বংশাল ও মিটফোর্ড এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ওপর ১৭টি ফার্মেসি তদারকি করা হয়। তদারকিকালে ১৭টি ফার্মেসির মধ্যে বংশাল এলাকায় হাবিব অ্যান্ড ব্রাদার্স মেডিসিন কর্নার, ভূঁইয়া ফার্মেসি, মনোয়ার ড্রাগ হাউস, মিজান ব্রাদার্স মেডিসিন কর্নার; মিটফোর্ড এলাকায় জন কর্পোরেট, করিম মেডিকেল স্টোর, রোগ মুক্তি মেডিসিন ও রিকো ড্রাগ হাউস ৮টি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। এ অভিযোগে ফার্মেসিগুলোকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তদারককালে সার্বিক সহায়তা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
এসআই/জেএইচ/পিআর