ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যত্রতত্র শিল্প কারখানা নয় : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯

দেশে যত্রতত্র শিল্প কারখানা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুন।

তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। শিল্প স্থাপনের জন্য কোনো কৃষি জমি নষ্ট করতে দেয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমির বিষয়ে আমাদের আইনেই আছে, যত্রতত্র শিল্প-কারখানা করা যাবে না। আমাদের বিসিক শিল্প নগরী আছে, বস্ত্র মিলসহ অনেক শিল্প কারখানা আছে। সেজন্য আমাদের অনেক জায়গার প্রয়োজন হয়। এ জন্য আমরা অনেক কৃষি জমিও নষ্ট করছি।

তিনি বলেন, আমরা শিল্প এলাকাগুলো পরিকল্পিতভাবেই করছি। কৃষিজমিতে কোনো শিল্প এলাকা হচ্ছে না। আপনারা জানেন, আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই পরিকল্পিতভাবে শিল্পে পার্ক করছি। এসব পরিকল্পিত শিল্প এলাকাগুলোয় অবশ্যই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। এ ছাড়া সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার নির্দেশনাতো আছেই।

অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা অঞ্চলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়মতো আমরা ধীরে ধীরে এগুলো সরিয়ে নেব। আমাদের অনেক জায়গা আছে, তাদের সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে। এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তাই রাতারাতি সরিয়ে নেয়া যাবে না। তাহলে অনেকে চাকরিহীন হয়ে পড়বে। আমরাতো বেকার সমস্যা দূর করতে চাই।

কৃষি জমি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি জমি নিয়ে আইন আছে। কৃষি জমিতে শিল্প-কারখানা স্থাপন হতে দেয়া হবে না। এ জন্য যত্রতত্র শিল্প কারখানা আমরা করতে দেব না। বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অপরিকল্পিত শিল্প নগরীকে যথাস্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। আমাদের জমি অনেক উর্বর। কৃষি ক্ষেত্রে সরকার বিশাল সফতা পেয়েছে।

ভেজাল ও নকল প্রতিরোধে কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা প্রশাকরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। তারা যেখানে ভেজাল ও নকল পণ্য পাবে সেগুলো ধরবে। ভেজাল ও নকল নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টরারেন্স নীতিতে এগোচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এমইউএইচ/জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন