লাইফ সাপোর্টে যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যান চাপায় আহত সার্জেন্ট
বরিশালে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের চাপায় আহত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া লাইফ সাপোর্টে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ঢামেকের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন বলেন, ঢামেকে আনার পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের আইসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তার কোথায় কোথায় আঘাতে আছে সেগুলো দেখা হচ্ছে।
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের এএসআই আব্দুল খান জাগো নিউজকে বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। তিনি জরুরি বিভাগের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
এর আগে দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের চাপায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ। আহত সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালী। আটক কাভার্ডভ্যানচালক জলিল সিকদার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দফতর) হাবিবুর রহমান খান জাগো নিউজকে বলেন, সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় যমুনা গ্রুপের একটি কাভার্ডভ্যান বরিশাল যাচ্ছিল। বেপরোয়া গতির কারণে সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া কাভার্ডভ্যানটি থামানোর সংকেত দেন। তা অমান্য করে কাভার্ডভ্যানটি দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন চালক। সার্জেন্ট কিবরিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে ট্রাকের সামনে গিয়ে পথরোধ করলে কাভার্ডভ্যানটি তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অন্যদিকে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে দ্রুতগতিতে চালক পালিয়ে যায়।
এআর/জেএইচ/জেআইএম