রুট টু মক্কা উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হজযাত্রীরা
সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রুট টু মক্কার (বাংলাদেশের মাটিতে সৌদি ইমেগ্রেশনের সুবিধা) উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলাদেশি হজযাত্রীরা।
এ উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে ঝামেলাবিহীন ও দ্রুততম সময়ে বের হয়ে মক্কার উদ্দেশে রওনা হতে পারছেন।
গত বছর পর্যন্ত জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য হজযাত্রীদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ করে যানবাহন ও লাগেজ তোলার জন্য আরও অনেকটা সময় হজ প্লাজায় বসে থাকতে হতো।
আরও পড়ুন > রাষ্ট্রীয় খরচে হজ, তালিকায় আরও ১৩৪ জন
বাংলাদেশি হজযাত্রীদের অধিকাংশের বয়স অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
জেদ্দা হজ প্লাজায় কর্মরত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, 'এবার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। জেদ্দা হজ প্লাজায় ফ্লাইট নামার আধ ঘণ্টার (যাদের সৌদি ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হচ্ছে) মধ্যে রুট টু মক্কার অধীনে ফ্লাইটগুলোর হজযাত্রীরা মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, যাদের ইমিগ্রেশন জেদ্দায় হচ্ছে তারাও সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারছেন। এ বছর খুব সুন্দরভাবে কাজটি করা হচ্ছে। হজযাত্রীরা ঝামেলামুক্তভাবে অল্প সময়ে এয়ারপোর্ট ত্যাগ করছেন।
সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব গেছেন ও বর্তমানে মক্কা এবং মদিনায় অবস্থান করছেন, এমন কয়েকজন হজযাত্রী এ প্রতিবেদককে জানান, জেদ্দা বিমানবন্দরে নামার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাইরে বের হয়ে গাড়ি রেডি পান। তাছাড়া দেশে থাকতেই বুঝিয়ে দেয়া সেই লাগেজ মক্কায় হোটেলে উঠার পর ঠিকঠাকই পেয়েছেন।
এবারই সৌদি সরকারের পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোম্পানি হজযাত্রীদের লাগেজ মক্কায় বাড়ি/হোটেলে পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে জেদ্দা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের লাগেজ খুঁজে হয়রান হতে হচ্ছে না।
চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে ১০ আগস্ট। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ৫৯৮ টি।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম