সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে আছি, থাকব : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সর্বশক্তি দিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে আছি এবং থাকব। তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি ও দুর্গত বিষয়ে সরকার দৃষ্টি রাখছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরও এ নিয়ে সজাগ ও সচেতন হতে হবে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো, মানুষের কল্যাণে এবং উন্নয়নে কাজ করাই আওয়ামী লীগের নীতি। জাতির পিতার হাতে গড়া এ দলের হাত ধরেই স্বাধীনতা এসেছে। সেই দলকে সুসংগঠিত করে স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাব। এই দেশটা হবে সার্বিকভাবে একটা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ সমর্থন ও ভোট দিয়ে আমাদের সরকারে পাঠিয়েছে বলেই দেশে উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি ধরে রাখতে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তি এবং জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। আমি মনে করি, ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর যেভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং বাংলাদেশকে এখন যে জায়গায় এনেছি তার পেছনে মূল শক্তি ছিল দেশের জনগণের সমর্থন। অবশ্যই মহান আল্লাহর একটা রহমতও ছিল।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আগামীতে দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাই তার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখন সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই পথগুলো আমাদেরকে ধাপে ধাপে অতিক্রম করতে হবে। সেজন্য বেশি প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করা, জনমত সৃষ্টি করা এবং চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে সমন্বিত পদক্ষেপ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। যেন আমাদের চলার পথে যত বাধাই আসুক অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
বিএনপি শাসনামলে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা যখন সরকারে ছিল হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন দুযোর্গে মারা গেছে। তারা মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দিতে পারেনি। বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে পারেনি। তারা ছিল শুধু নিজেদের আখের গোছানো নিয়ে ব্যস্ত।’
এফএইচএস/এসআর/পিআর