ইশতেহারে বলেছিলেন করবেন, এখন করছেন না কেন?
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরপর তিনবার সুপারিশ করেছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে চাকরিতে আবেদনের বয়স বাড়ানোর দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তা বাস্তবায়ন করছেন না কেন?
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বাস্তবায়ন না করায় সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
সংগঠনের নেতৃস্থানীয়রা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের জ্যেষ্ঠ নেতা হারুন-অর-রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারের ৩৩ পৃষ্ঠায় চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ঘোষণা ছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যহস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পর তা বাস্তবায়ন না করায় আমরা হতাশ।’
অপর জ্যেষ্ঠ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘দশম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরপর তিনবার সুপারিশের পরও কেন সরকার এটি উপেক্ষা করছে? আমাদের ২৮ লাখ তরুণ ছাত্র সমাজের গণদাবিকে কেন অবহেলা করা হচ্ছে? আমরা সাত বছর ধরে এ আন্দোলন করছি। অথচ উন্নত রাষ্ট্রে এ ধরনের যৌক্তিক আন্দোলনে একদিন মাঠে থাকলেই সরকার তা মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করত।’
‘আমরা দীর্ঘ সাত ছর ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছি। সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে আমরা এ দাবি জানাচ্ছি’- বলছিলেন সংগঠনটির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা এম এ আলী।
আনিসুল হক মুন্সী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান সরকার শিগগিরই আমাদের এ দাবি মেনে নিয়ে প্রমাণ করবেন, এখনও অহিংস পদ্ধতিতে যেকোনো দাবি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ৩৫ বছর করার প্রস্তাব করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। দাবিটি একাধিকবার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। একাধিকবার বিভিন্ন মহল থেকে বয়স বাড়ানোর কথা বলা হলেও এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিজিত শিকদার, ইউসুফ জামাল, নাসির আহমেদ, কামরুজ্জামান রিন্টু, সোনিয়া চৌধুরী, নাসরিন সুমি, শারমীন সুলতানা, ফুয়াদ আলম, কামাল হোসেন, নাহিদা প্রমুখ।
পিডি/এমএআর/পিআর