শুরু হলো ওআইসি সিটি অফ ট্যুরিজম
রাজধানী ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ‘ঢাকা দ্যা ওআইসি সিটি অফ ট্যুরিজম-২০১৯’। বিশ্বব্যাপী মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্টের লক্ষ্যে ৪০০ বছরেরও বেশি পুরোনো এ নগরীর সমৃদ্ধ মুসলিম ঐতিহ্য প্রদর্শনের লক্ষ্যেই এবার ঢাকায় এই আয়োজন।
গত বছর ইসলামিক কনফারেন্স অব ট্যুরিজম মিনিস্টারসের (আইসিটিএম) শেষ অধিবেশনে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রীদের দশম সম্মেলনে ২০১৯ সালের জন্য ঢাকাকে ‘ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর এক পাঁচতারকা হোটেলে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ওআইসির এসিসটেন্ট সেক্রেটারি মুসা ইলিকায়াসহ ৩০ ওআইসি সদস্য দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওতাইমীনের বিবৃতি পাঠ করেন মুসা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন।
উদ্বোধন অধিবেশনের পর বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি) বিকেলে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের জন্য ঢাকা শহরের ট্যুরের ব্যবস্থা করে। ওআইসি প্রতিনিধিদল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৫০০ বছর পুরোনো পানাম নগরী পরিদর্শন করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিটিবি শুক্রবার রাতে হাতিরঝিলে কনসার্ট, লেজার শো এবং ফায়ারওয়ার্ক প্রদর্শন করবে।
বোর্ড বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে অতিথিদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্বাগত ও বিদায়ী নৈশভোজের আয়োজন করবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এম মহিবুল হক জানান, ‘ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সামনে আমাদের পর্যটনকে তুলে ধরতে উৎসাহিত করার জন্য ঢাকার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও মুসলিম ঐতিহ্য, বিশেষ করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সমূহ প্রদর্শন করা হবে।’
সচিব আশা প্রকাশ করেন, ঢাকায় এ আয়োজনের ফলে মুসলিম ঐতিহ্যের আবাসস্থল হিসেবে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী মুসলিম ও অন্য পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
২০২০ সালে আজারবাইজানের গাবালাকে ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম করার বিষয়টি নিয়েও এবার আলোচনা করা হবে।
এফএইচএস/এএইচ/পিআর