ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হজ যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা : গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হজ যাত্রীদের কাছে সৌদি রিয়াল বিক্রির নামে প্রতারণাকারী দুইজনকে গ্রেফতার করেছ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটায়িলন(র‌্যাব)। শুক্রবার দুপুরে র‌্যাব-১ ব্যাটায়িলন সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে।
 
আটককৃতরা হলেন মো. ফিরোজ শেখ(৩৬), ও মো. আক্কাস (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
 
তিনি জানান, কিছু দিন পূর্বে প্রতারকচক্রের সদস্যরা উত্তরার একটি মসজিদের ঈমাম হাফেজ মো. সাহাব উদ্দিনকে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে দুই হাজার চারশ সৌদি রিয়াল দিবে বলে প্রলোভন দেখায়।
 
ঈমাম এই চক্রের জালে বন্দি হয়ে তিন লক্ষ টাকা প্রতারকদের হাতে দেয়। টাকা প্রাপ্তির পরে গামছায় প্যাঁচানো ছয়টি বাণ্ডিলে দুই হাজার চারশ সৌদি রিয়াল রয়েছে বলে প্রতারক চক্র জানায়। ঈমাম ছয়টি রিয়ালের কথিত বাণ্ডিল বাসায় নিয়ে দেখেন পুরনো খবরের কাগজের পেপার দিয়ে সাবান মোড়ানো রয়েছে।

একই কায়দায় মো. নাজেম উদ্দিন মোল্লা নামের অপর এক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন হজযাত্রীদের কাছ হতে সৌদি রিয়াল বিক্রির কথা বলে প্রতারনার ফাঁদ পাতে প্রতারকরা।
 
র‌্যাব-১ সদস্যরা অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারকচক্রের দুজনকে আ্টক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছয়শ সৌদি রিয়াল উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, সাহাবুদ্দিন পলাশ, রিপন, ফিরোজ এবং আক্কাস এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রের দলনেতা সাহাবুদ্দিন পলাশ। বিএ ডিগ্রীধারী সাহাবুদ্দিন পলাশ নিজেকে রেলওয়ের কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
 
পলাশ মানি এক্সচেঞ্জ ও মধ্যপ্রাচ্য ফেরৎ বিভিন্ন মাধ্যমে আসল রিয়াল সংগ্রহ করে বাকি তিনজনের কাছে তা সরবরাহ করত।
 
রিপন, ফিরোজ ও আক্কাস রিক্সা ও ভ্যানগাড়ী চালক। পলাশ এদেরকে গ্রামের বাড়ী থেকে সংগ্রহ করে দলে ভিড়িয়েছেন।
 
এই চক্রের আক্কাস রিক্সা চালানোর সময় সরলতার ভান করে রিক্সার যাত্রীদের প্রতারকদের জালের ভিতর নিয়ে আসে। আক্কাস তার রিক্সার যাত্রীকে প্রথমে একশ  রিয়ালের একটি নোট দেখায় এবং এটি বিক্রি করার জন্য রিক্সার যাত্রীর সাহায্য চায়।
 
যাত্রী ফাঁদে পা দিলে রিক্সার চালক ২/৫ হাজার রিয়াল বিক্রির টোপ দেয়। এসময় সে রিপনকে দালাল সাজিয়ে পরিচয় করিয়ে সত্যিকারের ৫/৬টি রিয়াল নোট দেখায়। সরল বিশ্বাসীদের কাছে ৩/৫ লক্ষ টাকার রিয়াল হস্তান্তর করে তারা। 
প্রতারকচক্রের বাকি দুই সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান র‌্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান।

জেইউ/এএইচ/পিআর