ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্থলবন্দর থেকে ৬ মাসে আয় সাড়ে ৭৬ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঘোষণা মতে দেশের স্থলবন্দরের সংখ্যা ২৩টি। এর মধ্যে ২২টি ভারত সীমান্তবর্তী এবং একটি মিয়ানমার (টেকনাফ)। এসব স্থলবন্দর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের (জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত) ছয় মাসে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৭ লাখ টাকা।

বুধবার (১০ জুলাই) সংসদে টেবিলে উত্থাপিত মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

সংরক্ষিত মহিলা এমপি হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর চারপাশে নৌপথ চালু করণে (প্রথম পর্যায় ২০০০-২০০৫ এবং দ্বিতীয় পর্যায় ২০০৮-২০১৩) দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সদরঘাট হতে আশুলিয়া এবং আশুলিয়া হতে কাঁচপুর পর্যন্ত ১২০ ফুট প্রশস্ততা ও ৬ ফুট ড্রাফট বিশিষ্ট নৌপথ চালু হয়। বর্তমানে নৌপথটি উক্ত ড্রাফটে চালু রয়েছে। দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকা ও পানি দূষিত হওয়ায় ওয়াটার বাসে যাতায়াতে যাত্রীরা আগ্রহী কম।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ঢাকার চারপাশের নৌপথে ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশনে বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে মালামাল পরিবাহিত হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটসমূহ হতে ১১ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা ইজারা দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে বিআইডব্লিউটিসির মাধ্যমে বর্তমানে বাদামতলী হতে গাবতলী এবং টঙ্গী হতে নারায়ণগঞ্জ নৌ রুটে নিয়মিত ওয়াটার বাস সার্ভিস চলাচল করছে। তবে দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকা ও নদীর পানি দূষিত হওয়ায় যাত্রীরা যাতায়তে আগ্রহ কম দেখায়।

তিনি বলেন, রাজধানীর চারদিকে নদীর তীর হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে অবকাঠামো সুবিধা নির্মাণ ২০১১ সালের জুলাই হতে ২০১৪ সালের জুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, বনায়ন ও দুটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি হতে জুন পর্যন্ত ৪৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রায় ১৩৫ দশমিক ৫০ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিলামের মাধ্যমে ৭ কোটি ৫৮ হাজার টাকা এবং ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪৮ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয় ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার বনায়ন তিনটি ইকোপার্ক, ছয়টি পল্টুন, ৪০ কিলোমিটার ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পাড ও ৪০৯টি বসার বেঞ্জ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যা ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে।

এইচএস/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন