ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

১০ বছরে বিদেশে ৫৯ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৯

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের বিগত দুই মেয়াদে অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫ কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৯ জন নারী কর্মীর প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে।’

সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে সরকারি দলের বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওমানে সর্বোচ্চসংখ্যক ১১ লাখ ৮ হাজার ৪৮৬ জন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৌদি আরবে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪৭৩ এবং তারপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৯০ জন কর্মী গেছেন।

বেগম আদিবা আনজুম মিতার অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৯ জন নারী কর্মী পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সৌদি আরবে ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৪৪ জন। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নারী কর্মী পাঠানো হয়েছে জর্দানে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৩ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮ এবং লেবাননে ১ লাখ ৫ হাজার ৮৬০ জন।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক বিদেশগামী কর্মীর অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পাদন করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বর্তমানে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা ১ হাজার ২৪৮টি।’

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনার রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো বিদেশগামী কর্মী যাতে প্রতারণা বা হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে মনিটরিং করা হচ্ছে। যদি কেউ কোনো গরিব মানুষকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নামে প্রতারণা করে তবে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতি বছর ১ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ইমরান আহমদ বলেন, ‘বিদেশে কেউ মারা গেলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ফ্রি লাশ আনা হয়, লাশ আসার পরে বিমানবন্দরে তার পরিবারের হাতে ২৫ হাজার টাকা এবং পরে ৩ লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়।’

মো. আনোয়ারুল আজীমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রবাসে কর্মরত কর্মীদের আইনগত সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন দেশে ৩০টি শ্রম উইং স্থাপন করেছে। বিদেশে প্রতারিত হয়ে যারা জেলে আটক তাদের মুক্তির লক্ষ্যে এ উইংয়ের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা দিয়ে দেশে ফেরত আনা হয়।

এইচএস/এনডিএস/এমএস

আরও পড়ুন