রিকশার পথ দখল করবে ব্যক্তিগত গাড়ি
রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে রিকশা উচ্ছেদের পাশাপাশি যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে পর্যাপ্ত মানসম্মত গণপরিবহন নামানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একইসাথে এসব সড়কে গণপরিবহনের জন্য পৃথক লেন চালু করার দাবি জানায় সংগঠনটি। অন্যথায় উচ্ছেদকৃত রিকশার পথগুলো ব্যক্তিগত গাড়ি দখল করে নেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিয়োজিত এই সংগঠন।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
সম্প্রতি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সে উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যানজট নিরসনে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও একই সাথে ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় নগরীর সাধারণ মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে, তাই জনস্বার্থ সমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগটি কিছুদিনের মধ্যে ভেস্তে যেতে পারে। কেননা এই নগরীতে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি ব্যক্তিগত পরিবহন নামছে। গণপরিবহন দিনে দিনে সংকুচিত হচ্ছে। গণপরিবহনে যাত্রীসেবার মান নিম্নমুখী ও যাত্রী হয়রানি-ভাড়া নৈরাজ্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে মানুষ ধার-দেনা করে ব্যক্তিগত গাড়ির দিকে ছুটছে।
তিনি বলেন, গণপরিবহন সংকটকে কাজে লাগিয়ে রাইড শেয়ারিংয়ের নামে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার নামানোর হিড়িক পড়েছে। এমতাবস্থায় শুধুমাত্র রিকশা উচ্ছেদ করে যানজট কমানোর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা অসম্ভব বলে মনে করি। যেসব সড়কে রিকশা উচ্ছেদ করা হবে সেসব সড়কে পথচারীদের হাটাঁর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি জানাই।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের মনে রাখা দরকার সারাদেশের বেকার যুবকদের ঢাকা শহরে এনে ফুটপাতে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া ও ঢাকার রাস্তায় রিকশা চালানোর সুযোগ দেওয়ার মানসিকতা পরিবর্তন করে গ্রামে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্রাম ভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা জরুরি। এর পাশাপাশি ঢাকার উপর চাপ কমাতে ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণের পাশাপাশি অফিস-আদালতের বিকেন্দ্রিকরণ করা জরুরি।
এএস/এনএফ/পিআর