ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশে কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে মাথাপিছু আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ সালে জিডিপি দুই অঙ্কে পৌঁছাবে। অল্পদিনের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ দেশে কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না।

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন ফিন্যান্সিয়াল রেগুলেটর ট্রেনিং ইনিসিয়েটিভ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশের উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিষ্ঠান। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ নিয়েছে। গ্রামের মানুষ পর্যন্ত আজ অনলাইনে কেনাকাটা করছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য কমে আসছে।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এ ১০০টি শিল্পাঞ্চলে বিদেশিদের বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এক কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন পণ্যের রফতানিও বাড়বে।

তিনি বলেন, দেশে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। যার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এক সঙ্গে সব টাকা বিনিয়োগ না করে কিছু টাকা হাতে রেখে বিনিয়োগের জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ২০ ও ২১ সাল মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবো। ৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ। এ ছাড়া আগামী প্রজন্মের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছি। তখন আমরা থাকবো না। তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পায়। বিশ্বের বুকে তারা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। দেশকে আর যেন কেউ ঘৃণার চোখে দেখতে না পারে। সেই পরিকল্পনায় কাজ করে যাচ্ছি।

এফএইচএস/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন