ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এক লাখ ৬০ হাজার গাছ থাকছে পদ্মা সেতু এলাকায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৯

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় সবুজায়ন ও সৌন্দর্য বাড়ানোর লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে ব্যাপক উদ্যোগ। এজন্য এ সেতুর উভয় পাশে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৭টি গাছ লাগানো হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের অগ্রগতি ৮১ শতাংশ। এ প্রকল্পের ভৌতিক অগ্রগতি ৭১ শতাংশ। এছাড়া জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। নদীশাসনের কাজ ৫৯ শতাংশ শেষ হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, মো. হাসিবুর রহমান স্বপন, মো. আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহউদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন এবং রাবেয়া আলীম বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বিআরটিসির সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু বিভাগের আওতাধীন চলমান মেগা প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ অবস্থা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে উত্থাপিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভাগ একটি পদ্মা সেতুসহ দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রতিবেদন উত্থাপন করে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় একটি যাদুঘর স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ২০২৩টি নমুনা যাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মাওয়া জাজিরায় ৯.৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। জুন পর্যন্ত ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৫৬টি এবং ৪২টি পিয়ার কলামের ২৯টির নির্মাণ শেষ হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের জানান, বিআরটিসির ডিপো ম্যানেজারদের দায়িত্ব পালনে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কাজ দ্রুত ও টেকসই করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং বিআরটিসির চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন