ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ধর্ষক হারুনের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৯

রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামের স্কুলছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ‘ধর্ষক’ হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ জুলাই) কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ‘ধর্ষক’ হারুনের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। দাবি উঠেছে, জনসম্মুখে তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

সোনারগাঁ থেকে হারুন অর রশিদকে গ্রেফতারের পর আজ (রোববার) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন সংবাদ সম্মেলন করে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।

এর আগে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইফতেখার আহমেদ ‘ধর্ষক’ হারুন অর রশিদকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতার হারুনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। মোবাইল ফোনও বন্ধ রাখে হারুন। পরে পুলিশ তার অবস্থান শনাক্ত করে সোনারগাঁ থেকে গ্রেফতার করে।

শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নাহিদ বোরহান নামের একজন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ওয়ারীর শিশু সায়মার ধর্ষণ ও হত্যাকারী হারুনুর রশীদ। প্রশাসনকে ধন্যবাদ। এই জানোয়ারের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

হারুনের গ্রেফতার হওয়া ছবিসহ তার পোস্টের নিচে এ কে সাইফুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘এদের আমাদের কাছে ছেড়ে দেয়া হোক। ওদের মতো পশুদের চামড়া তুলে লবণ এবং লংকা গুঁড়া লাগিয়ে রোদে শুকাতে দিতে হবে। শুকানোর পর আবার লবণ মরিচ দিতে হবে। এভাবে বার বার দিতে হবে। সাথে অই বেহায়া যন্ত্রটাকে কেটে সমান করে দিতে হবে। তা দেখে যদি সুবিধাবাদী, লোভী, বাটপার মানবতার অবতার কোন কথা বলতে আসে এদেরও একই কাজ করতে হবে। তাহলে দেখবেন সমাজে একটা ধর্ষণ নাই। কোন মা-বোনকে ভয়ে আতংকিত থাকতে হবে না।’

মোহেমা আক্তার নামের একজন লিখেছেন, “প্লিজ, ধর্ষণের শান্তি মৃত্যু-- ‘দণ্ড’ (দণ্ড) করুন। -- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।”

শিশু সামিয়া আফরিন সায়মা ছবি পোস্ট করে এস কে লাভলী নামের আরও একজন লিখেছেন, ‘নিচের এই ছবিটা আমাকে খুব কস্ট (কষ্ট) দিচ্ছে, কিছুতেই মন সরাতে পারছিনা....। আমিও এক কন্যা সন্তানের হতভাগ্যো মা...... পেটের দায়ে যখন বাসা থেকে বাহির যা-ই.. তখন কাজে মন বসাতে খুব কস্ট (কষ্ট) হয়.. মন থাকে বাসায় পড়ে, আমার মেয়ে ঠিক আছে তো..? কোন বিপদ ওকি মারছে না তো..? একটু পর পর কল দিচ্ছি একবার কল রিসিভ না করলে মনের ভয়ে কতকিছুইনা ভেবে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। যদি কোন বিপদ হয়ে যায় তাহলে আমি কি করবো কিভাবে বাঁচব........ আল্লাহর কসম আমি যদি জীবনে একবারও এমন কোন জানোয়ারের দেখা পাই.... কচু কাটা করে কাটবো, ওই জানোয়ারকে বুঝিয়ে দিবো বাকি জানোয়ারদের যে-ই এ-ই মেয়ে মানুষ তোকে দুনিয়াইতে আলো দেখিয়েছে আবার এ-ই মেয়ে মানুষই.. কেটে কুত্তারে খাওয়াচ্ছি.... হয়তো কুত্তাও ছুয়ে দেখবেনা ওসব নরপিশাচের মাংস।’

প্রীতি ওরিসা নামের একজন লিখেছেন, ‘সরকার ধর্ষকের শাস্তিজনিত আইন মা-বাবার হাতে তুলে দিক। এতো এতো ট্যাক্স সরকারকে না দিয়ে সেই টাকা দিয়ে জনগণ প্রাইভেট গোয়েন্দা সেবা নিতে শুরু করুক। হে রাষ্ট্র এবার তবে বিশ্রাম নাও। আরআইপি।’

গ্রেফতারের পর ‘ধর্ষক’ হারুন অর রশিদের দেওয়া তথ্যমতে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন মাকে বলে শিশু সায়মা আট তলায় যায়। সেখানে ফ্ল্যাট মালিক পারভেজের একটি বাচ্চা আছে তার সঙ্গে খেলা করতে। সেখানে গেলে পারভেজের স্ত্রী জানায় তার মেয়ে ঘুমাচ্ছে। সেখান থেকে বাসায় ফেরার উদ্দেশে লিফটে ওঠে সায়মা। লিফটেই সায়মার সঙ্গে দেখা হয় পারভেজের খালাতো ভাই হারুনের। হারুন সায়মাকে লিফট থেকে ছাদ দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ছাদে নিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে অত্যন্ত পাশবিকভাবে সায়মাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সায়মা চিৎকার করলে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। সায়মাকে নিস্তেজ দেখে গলায় রশি লাগিয়ে টেনে নিয়ে যায় রান্নাঘরে। সেখানে সিঙ্কের নিচে রাখে। এরপর পারভেজের বাসায় না ফিরে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকায় পালিয়ে যায় হারুন।’

আরএস/এমএস