মশার ওষুধে ভেজাল : লিমিট অ্যাগ্রো কালো তালিকাভুক্ত
মশা মারার ভেজাল ওষুধ সরবরাহ করায় লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সচিবালয়ে রোববার ঢাকা মহানগরীর মশা নিধন কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানান তিনি। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনও উপস্থিত ছিলেন।
ডেঙ্গুকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এ চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য জনগণ আমাকে ভোটে ম্যান্ডেট দিয়েছেন এবং আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এটা আমাদের প্রথম সিজন। আমি এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করছি। এ এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করতে গিয়ে দেখলাম, ইয়েস...এখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন কন্ট্রাক্টর যেই কোম্পানির নাম লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস, যাদের মশার ওষুধ চারবার টেস্ট করার পর দেখেছি খারাপ মশার ওষুধ। দিস ইজ দ্য ফার্স্ট টাইম ইন দ্য হিস্ট্রি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টসকে ব্ল্যাক লিস্ট (কালো তালিকাভুক্ত) করা হয়েছে। তার মশার ওষুধ আমরা নেব না।’
‘এ কোম্পানি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কোনো টেন্ডারে আর অংশগ্রহণ করতে পারবে না’ বলেন আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, ‘আমরা দেখেছি মশার ওষুধের কম্পোজিশন (রাসায়নিক মিশ্রন) যেটা থাকে, ১১ বছর ধরে একই ধরনের কম্পোজিশন চলছে। আমরা আইসিডিডিআরবি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলে ইমিডিয়েটলি মশার ওষুধের কম্পোজিশন....নেক্সট চালান যখন আসবে...এর আগে চ্যালেঞ্জ যেখানে রয়েছে, আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডাব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদন নিয়ে নতুন ওষুধ ও নতুন কম্পোজিশন এনে এই প্রথমবারের মতো আমরা ট্রাই করতে যাচ্ছি। যে তিনটি কম্পোজিশন নিয়ে ওষুধটি হয় এর একটি পরিবর্তন করা হয়েছে, আমি বলেছি না তিনটি কম্পোজিশনই পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যারা আছেন আমরা তাদের সাথে কথা বলছি। আমাদের বিশ্বাস আমরা একটি ভালো রেজাল্ট আনতে পারব।’
‘গত ২ মাস আগে থেকে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সাথে মিটিং করেছি। আমরা তাদের বলেছি আমাদের তথ্য দেয়ার জন্য। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হব,’ যোগ করেন মেয়র আতিকুল।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘মশক নিধনকর্মীদের একটি লগবুক করছি। এটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমরা পাবলিকলি করে দেব। কোন এলাকায় কোন মশককর্মী যাবে এবং তার ফোন নম্বর কত তা আমরা স্থানীয় সবাইকে বলে দিতে চাচ্ছি। তখন আপনারা ফোন করতে পারবেন যে, আমার এই রোডে এই মশককর্মী যায়নি। আমরা তাকে ফোন করতে পারব। ফোন নম্বরটা আমরা ওয়েবসাইটে দিয়ে দিচ্ছি, পাবলিকলিও আমরা জানিয়ে দেব। প্রথমবারের মতো আমরা একটি চটি বই করেছি, এটা অনলাইনে দিচ্ছি।’
সচেতনতা সৃষ্টিতে উত্তর সিটি করপোরেশেনের পক্ষ থেকে স্টিকার তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে প্রথমবারের মতো সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি স্লাইড (ভিডিও ক্লিপ) তৈরি করেছি আমরা।’
এরপর অনুষ্ঠানে ভিডিও ক্লিপটি দেখানো হয়।
আরএমএম/এনডিএস/পিআর