খাদ্যে ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রস্তুতকারীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি
খাদ্যে ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রস্তুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চ্যারিটি মানবকল্যাণ সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিও জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আকবর বলেন, খাদ্যে ভেজাল ও নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী ব্যক্তিরা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা ব্যক্তিগত মুনাফার লোভে এ দেশের জনসাধারণকে খাদ্যে ভেজালের মাধ্যমে ধীরে ধীরে হত্যায় লিপ্ত হয়েছে। শুধু খাদ্যে ভেজালের কারণে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে, ১ লাখ ৫০ হাজার ডায়াবেটিসে, ২ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেমিক্যাল মিশ্রিত বা ভেজাল খাদ্যের কারণে পেট ব্যথা, বমি হওয়া, বদ হজম, শরীরে ঘামের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, এলার্জি, অ্যাজমা, চর্মরোগ, ব্রেইন স্ট্রোকসহ নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অপরাধে শুধু সাময়িক জেল-জরিমানাই যথেষ্ট নয়। এ ধরনের অপরাধ যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেটার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ১৯৭৪ সালের আইন বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজকে এ মানববন্ধনে মিলিত হয়েছি।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বিলু বলেন, আমরা কোথায় যাব, কী খাব? শাক-সবজিতে ভেজাল, ফলমূলে ভেজাল, তেলে ভেজাল। এসব ভেজাল খেয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা যেসব ওষুধ দেবেন -সেগুলোতেও ভেজাল। এ থেকে মুক্তি পেতে ভেজালবিরোধী নতুন আইন করা জরুরি।
সংগঠনটির সভাপতি এম নূরুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মাঝে কলামিস্ট বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, আইনজীবী মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন।
পিডি/আরএস/জেআইএম