ওয়ারিতে নির্যাতনের পর শিশু হত্যা
রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামের একটি বহুতল ভবনের ফাঁকা ফ্লাট থেকে সামিয়া আফরিন সায়মা (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সায়মার গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখে জমাট রক্ত দেখা গেছে।
পুলিশের ধারণা, সায়মাকে খুনের আগে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। পরে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত ভবনের ৯ তলার ফাঁকা ফ্লাটের ভেতরে সায়মার মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। সিআইডির ফরেনসিক দল ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সর্বশেষ রাত সাড়ে ১১টার খবর অনুযায়ী মরদেহের সুরতহাল চলছিল।
পরিবার জানায়, ওই ৯ তলা ভবনের ৬ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সায়মা। বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা। ওয়ারি সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়তো সায়মা।
বাবা আব্দুস সালাম বলেন, সন্ধ্যার পর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার মাকে বলেছিল ‘আমি উপরে পাশের ফ্ল্যাটের যাচ্ছি একটু খেলাধুলা করতে।’ এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ৯ তলায় খালি ফ্লাটের ভেতর থেকে গলায় রশি দিয়ে বাধা মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পাই।
তিনি বলেন, কে বা কারা আমার মেয়েকে খুন করেছে কিছুই বুঝতে পারছি না। শিশুকে খুন করতে পারে এমন পাষণ্ডের কোনো ক্ষমা নেই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। লাশের সুরতহাল চলছে। প্রাথমিকভাবে ওই শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুটির মুখে রক্ত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হবে।
জেইউ/এএইচ