কথা থাকলেও ঢাকায় হয়নি হজযাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১ ঢাকা ছেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সোয়া ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি জেদ্দার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
প্রথম ফ্লাইটের সব হজযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন শেষে রওনা হন তারা। প্রথম ফ্লাইটের সবার ইমিগ্রেশন জেদ্দা বিমানবন্দরে করা হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে সৌদি আরবের পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন শাহজালাল বিমানবন্দরে করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কিছু করার নেই। কারিগরি ত্রুটি বাংলাদেশ ছাড়াও একাধিক দেশে হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন > শাহজালালে তিন মিনিটেই ‘সৌদি ইমিগ্রেশন’
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, শাহজালালে পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন না হলেও ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম যেমন হাতের ১০ আঙুলের ছাপ, পাসপোর্ট স্ক্যান, ছবি উঠানোসহ অন্য কাজগুলো করা হয়েছে। ফলে জেদ্দায় হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশনে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে বুধবার রাত ৩টায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারীসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হজযাত্রীদের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রোট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের অন্তর্ভুক্ত বিমানের এ ফ্লাইটে মোট ৪১৯ জনের মধ্যে সবাই গমন করেছেন বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, এ বছর প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ বাংলাদেশি হজ করবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন সাত হাজার ১৯৮ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী।
এসব যাত্রীর মধ্যে ৫০ শতাংশ রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।
এবার হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা এবং ঢাকা-মদিনা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের চারটি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এমইউ/এএইচ/জেআইএম