রাজধানীতে এখনো বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাজধানীতে এখনো বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। এ অভিযোগে ৯ প্রতিষ্ঠানকে দণ্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর রামপুরা, রমনা, মগবাজার ও বনশ্রী এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে এ প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে ছয় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি তিন প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করেছে অধিদফতর।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান ও মাসুম আরেফিন।
সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন জাগো নিউজকে বলেন, রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ। কিন্তু ওষুধ মেয়াদহীন ও ভেজাল হলে রোগীর মৃত্যু হবে। এজন্য আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা আইনকে তোয়াক্কা করছে না। আমরা এসব অসাধু ব্যবসায়ীকে ধরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এর অংশ হিসেবে বুধবার অধিদফতরের একটি টিম রাজধানীর রামপুরা, রমনা, মগবাজার ও বনশ্রী এলাকায় ১৬ ফার্মেসিতে অভিযান চালায়। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে মগবাজার এলাকায় ট্রাস্ট ফার্মা ও মেসার্স ইস্কাটন ড্রাগ স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার ও রামপুরার তিথি ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন : মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যায় কোথায়?
এছাড়া মালিবাগের মা ফার্মেসি, দোহা ড্রাগ হাউস ও তাজ ফার্মার ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজারসহ মোট ছয় প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত ১৮ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মজুত ও বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এসআই/এএইচ/এমকেএইচ