দুদক দুর্নীতিমুক্ত হলে দুর্নীতিমুক্ত হবে দেশ
দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশীদ খান বলেছেন, দুদক দুর্নীতিমুক্ত হলে বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে। স্বাধীনতার পরে এখন পর্যন্ত প্রতিটি সরকার দুর্নীতি লালন-পালন করেছে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুদককে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়াসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করা হলেও দুদক দুর্নীতি দমনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারেনি। বরং দুর্নীতিবাজরা দুদককে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। তার সর্বশেষ উদাহরণ পুলিশের ডিআইজি মিজান ও দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের মধ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের ঘটনা। এ ছাড়া দুদকের চেয়ারম্যান বলেছেন, দুদকের ৮৭৪ জন কর্মীর সততার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি না।
তিনি বলেন, দুদকের কর্মকাণ্ডে জাতি হতাশ। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হাইকোর্টের বিচারপতিদের দিয়ে কমিশন গঠন করে দুদকে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে এবং দুদককে আরও সক্রিয় করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে দুদকের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, মার্কা ব্যবসা ও নমিনেশন বাণিজ্যই দুর্নীতির মূল। মার্কা ব্যবসা বন্ধ না হলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না। মানি লন্ডারিং দেশের প্রধান সমস্যা, মানি লন্ডারিংকারীদের গ্রেফতার করে তাদের পরিবারের সব সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে দেশের সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. হারুন-অর-রশীদ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।
এমএইচএম/জেডএ/জেআইএম