ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সামরিক খাতে কুয়েতের সাথে সহযোগিতা চুক্তির অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৮:১৭ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৪

বাংলাদেশের সামরিক খাতে সহযোগিতার জন্য কুয়েতের সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভা অপরাধ দমনে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘকালের বন্ধুরাষ্ট্র কুয়েতের সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদি সামরিক চুক্তি করবে সরকার। এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর মধ্যে সামরিক, চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য বিরোধী কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতা, অভিজ্ঞ সাংস্কৃতিক কর্মী বিনিময় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাড়বে।

মোশাররাফ হোসাইন বলেন, চুক্তিটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আরো অধিক সংখ্যক সদস্যকে কুয়েতে প্রেষণে নিযুক্ত করা যাবে। পাশাপাশি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে কূটনৈতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো আন্তরিক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, চুক্তির মেয়াদ হবে ৫ বছর। যদি কোনো পক্ষ চুক্তির মেয়াদ সমাপ্তির ৯০ দিন আগে চুক্তিটি সমাপ্ত করার বিষয়ে অপর কোনো পক্ষকে নোটিশ প্রদান না করে, তাহলে চুক্তির মেয়াদ প্রতিবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ বছর হিসেবে বর্ধিত হবে।

এই চুক্তির ফলে সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং শারীরিকভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

১৫টি ক্ষেত্র হলো- সামরিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা, দুই দেশের স্থল, নৌ, বিমানবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা, লজিস্টিক, অনুশীলনের জন্য সামরিক পর্যবেক্ষক বিনিময়, প্রযুক্তিগত বা বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন এবং সামরিক ক্ষেত্রে নতুন সংযোজিত বিষয়সমূহ, প্রযুক্তি বিনিময় কার্যক্রমসহ প্রতিরক্ষা শিল্প ও উৎপাদনে সহযোগিতা, চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য পাচার নিয়ন্ত্রণ, সামরিক ইতিহাস, সামরিক ঐতিহাসিক দলিলপত্র, সামরিক প্রকাশনা এবং জাদুঘরবিদ্যা, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত জনবল বিনিময়, সামরিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে (সামরিক ও বেসামরিক) সহযোগিতা।