ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কাজ করার মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন করুন : নৌ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ২৩ জুন ২০১৯

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীন সব বিভাগ, অধিদফতর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে মুজিববর্ষ উদযাপন করুন।

আজ রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ বিভাগ ও সংস্থা সমূহের প্রধানদের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অনেকগুলো রুটিন ওয়ার্ক রয়েছে। তবে এবারের বছরে নতুন সংযোজন হয়েছে মুজিব বর্ষ। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এ জন্মশতবার্ষিকী আর দ্বিতীয়বার আসবে না। আমরা এটা সেলিব্রেট করব এই কারণে যে, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটা জাতির পিতা। তার একটা আদর্শ রয়েছে, তিনি আমাদের একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন যে এই বাংলাদেশ কী হবে, কোথায় যাবে।’

আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফুলেল মালা বা পরতে পরতে বঙ্গবন্ধু এসব দিয়ে কতটুকু সম্মান প্রদর্শন হবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে।’

বঙ্গবন্ধুর আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এত বড় কথা পৃথিবীর অন্য কোনো নেতা বলেছেন কিনা আমার জানা নেই।’

মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাব মুজিব বর্ষে আমাদের কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে আমরা একটা ইতিহাস গড়তে চায়। মনে করি এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই বৈজ্ঞানিক পন্থা অনুসরণ করে যেসব অর্জন করতে পারেনি, বাংলাদেশ সাধারণ পন্থা অনুসরণ করেই অনেক কিছু অর্জন করেছে। কাজেই আমি বলব আপনারা যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করছেন এটা শুধু কাগজে-কলমে না রেখে বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান দেখাবেন।’

পরে নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) বেগম ইয়াসমিন আফসানা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইয়াহইয়া সৈয়দ, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট সাজিদ হোসেন এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনসটিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অধীন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যেসব কাজ হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে নদী বন্দর, সমুদ্র বন্দর ও স্থল বন্দরসমূহের আধুনিক ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ; উপকূলীয় নৌপথে বাতিঘর ও বয়াবাতি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন; মেরিটাইম ও বন্দর সম্পর্কিত আইন ও বিধি বিধান প্রণয়ন, প্রয়োগ এবং হালনাগাদকরণ; অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিতকরণ; অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণ; যান্ত্রিক নৌযান ব্যবস্থাপনা, সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন এবং মেরিটাইম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ; বাংলাদেশের জলসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে জলযানসৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ; নৌচলাচল ও নৌবাণিজ্য সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০ এর বিষয়গুলো হচ্ছে- বিশ্বমানের বন্দর, মেরিটাইম ও নৌপরিবহন ব্যবস্থাপনা; সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরসমূহের আধুনিকায়ন; নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ; মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ জনবল সৃষ্টি; সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন; বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তাকরণ; দাফতরিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ; কর্মসম্পাদনে গতিশীলতা আনয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি এবং আর্থিক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ এর মধ্যে ৯৫ দশমিক ৩৪ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত ৮৫ ভাগ অর্জন করেছে।

এমইউএইচ/এসআর/জেআইএম

আরও পড়ুন