ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ২২ জুন ২০১৯

আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস রোববার (২৩ জুন)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হবে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাচিভিং দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস থ্রো ইফেকটিভ ডেলিভারি অব সার্ভিসেস, ইনোভেটিভ ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবল ইনস্টিটিউশনস।’

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন শোভাযাত্রা ও সেমিনার আয়োজন করবে। দিবসটি উদযাপনের জন্য প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াসহ সরকার গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে দক্ষ, গতিশীল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক জনপ্রশাসনের ভূমিকা অপরিহার্য। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের পথ ধরে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।’

‘সরকার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র এবং স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তিতে দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সৎ, দক্ষ, মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল সিভিল সার্ভেন্টদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’

কর্মক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তির প্রয়োগ এবং নিত্যনতুন ধ্যান-ধারণার সঙ্গে পরিচিত হতে প্রজাতন্ত্রের সব স্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, ‘আমি আশা করি সরকারি কর্মচারীরা পাবলিক সার্ভিসকে শুধু পেশা নয়, ব্রত হিসেবেও গ্রহণ করবেন। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত জনগণের পরিবর্তিত চাহিদা ও সেবার ধরণ অনুযায়ী হালনাগাদ থাকতে হবে। কেবল যুগোপযোগী, প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে চলা জনপ্রশাসনই জনগণের কাঙ্খিত সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে সক্ষম।’

দিবসে সকল কর্মচারীকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনবান্ধব ও সেবামুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারি কাজে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্যকর ডিজিটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই করার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। এই সেবা উৎপাদন ও বিতরণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষমতার ওপরই পাবলিক সার্ভিসের দক্ষতা ও কার্যকারীতা নির্ভরশীল। বর্তমান সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১২৩ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।’

‘সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীদের পেশাদারিত্বের উৎকর্ষ লাভের লক্ষ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের সর্বসাধারণের সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।’

আরএমএম/এমআরএম/এমকেএইচ

আরও পড়ুন