‘সোহেল তাজের বক্তব্যে প্রমাণিত গুম-খুনে কারা জড়িত’
গুম ও অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান দিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি দাবি করেন, ‘সোহেল তাজের বক্তব্যে প্রমাণিত গুম-খুনে কারা জড়িত।’
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের ভাগনেকে অপহরণের পর উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন এবং ফেসবুক লাইভে তার ভাগনেকে অপহরণের অভিযোগ করেন।
অপহরণের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘তার (সোহেল তাজ) অভিযোগ উত্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী সমাজ উদ্বিগ্ন। এতে প্রমাণিত হয় গুম ও অপহরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত। আমরা গুম ও অপহরণের শিকার যারা হয়েছেন তাদের সন্ধান ও মাসের পর মাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণিত যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুম, খুন, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তিনি দেশের আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুম হওয়া সব মানুষের সন্ধান দেয়া এবং মাসের পর মাস বিনা বিচারে তাদের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন এমন অভিযোগ করেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা ও ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স কাউন্সিল- এনএলসির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগনে সৌরভকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা এলাকার জামিল রাইস মিলের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভাগনে নিখোঁজ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন সোহেল তাজ, করেন সংবাদ সম্মেলনও।
লিখিত বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আরও বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে সরাসরি লাইভে এসে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় তার ভাগনে সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভকে ফেরত চান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক সৌরভকে তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ তোলেন।
‘ফেসবুক লাইভে সোহেল তাজ আরও বলেন, সৌরভকে ফোন ট্র্যাক করে শনাক্ত করা হয়েছিল। এলিট ফোর্স ছাড়া কারও কাছে এ প্রযুক্তির সুবিধা নেই। এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন।’
এফএইচ/এমএআর/পিআর